E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৯ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

২০১৯ সেপ্টেম্বর ০৮ ১৪:২৭:৫৬
৯ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

স্টাফ রিপোর্টার : ইলিশ রক্ষায় প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে এবার আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ২২ দিন অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু।

রবিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় দুটি বিদেশি জাহাজের অনুপ্রবেশের বিষয়ে নীতিনির্ধারণী সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মৎস্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আশ্বিনী পূর্ণিমার সময় আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। যেসব জেলার নদ-নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া যায় সেখানকার জেলেদের আমরা খাদ্য সহায়তা দেব।’

তিনি বলেন, ‘নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ পরিবহন, গুদামজাতকরণ কিংবা বিক্রিও সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।’

গত বছর নিষিদ্ধের সময় ছিল ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর। ১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি (প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস, ১৯৮৫) অনুযায়ী প্রতি বছর আশ্বিনী পূর্ণিমার সময় ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস সংশোধন করে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় ২০১৬ সালে বাড়িয়ে ২২ দিন করা হয়। এর আগে এ সময় ছিল ১৫ দিন। ২০১৫ সালের আগে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় ছিল ১১ দিন।

৯ থেকে ৩১ অক্টোবর ইলিশ ধরা ও বিক্রির পাশাপাশি সরবরাহ, মজুদও নিষিদ্ধ থাকবে। এ আদেশ অমান্য করলে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে।

চান্দ্রমাসের ভিত্তিতে প্রধান প্রজনন মৌসুম ধরে এ বছর আশ্বিন মাসের প্রথম চাঁদের পূর্ণিমার দিন এবং এর আগে চার ও পরের ১৭ দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।

নিষিদ্ধ সময়ে সারাদেশের মাছের ঘাট, মৎস্য আড়ত, হাট-বাজারে অভিযান চালানো হয়ে থাকে। এই সময়ে জেলেদের ভিজিএফের (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) আওতায় চাল দিয়ে থাকে সরকার। প্রত্যেক জেলে পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পেয়ে থাকে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test