E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৬টি নতুন জাহাজ ক্রয় করবে সরকার

২০১৪ আগস্ট ০১ ১৩:২৯:২৭
৬টি নতুন জাহাজ ক্রয় করবে সরকার

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জন্য চীন সরকারের আথির্ক সহায়তায় নতুন ৬টি জাহাজ ক্রয় করবে সরকার। জাহাজ ছয়টির ক্রয় মুল্য ধরা হয়েছে ১৮৪.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

জাতীয় অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে একটি সার-সংক্ষপ পাঠিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

আগামী সোমবার অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় তা অনুমোদন দেয়া হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

নৌ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সার-সংক্ষেপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) একটি সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠালগ্নে বহরে কোন জাহাজ ছিল না। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে সরকারী পৃষ্টপোষকতায় বিএসসি ৩৮টি জাহাজ ক্রয় করে। এছাড়া ১৯৮০ সালে ২৬টি জাহাজ বিদ্যমান ছিল। বিগত বছরে কয়েকটি জাহাজ বষসের কারণে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বিভিন্ন সময়ে তা বিক্রি করে দেয়া হয়।

বর্তমানে বিএসসির বহরে ৮টি জাহাজ রয়েছে, যাদের গড় বয়স ৩০ বছরের উপর। আন্তরজাতিক সংন্থার জারিকৃত বিভিন্ন কঠোর বিধি নিষেধ প্রতিপালন করে পুরানো এসব জাহাজ আন্তরজাতিক রুটে পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না।ফলে বিএসসি’র বিণিজ্যিক পরিধি একেবারে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক শিপিং ট্রেডে অস্তিত্ব রক্ষার্থে বিএসসি বহরকে আধুনিক ও সুষমকরণ জরুরি প্রয়োজন।

সার-সংক্ষেপে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) বর্তমানে বছরে ৩০ লাখ টনের অধিক ফিনিশড/ রিফাইন্ড প্রোডাক্ট, ডিজেল, কেরোসিন, জেড ফুয়েল, প্রেট্রোল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কুয়েতসহ অন্যান্য দেশ থেকে রপ্তানী করে থাকে। বর্তমানে ভাড়া করা বেদিশী জাহাজের মাধ্যমে রিফাইন্ড প্রোডাক্ট ও বাল্ক কার্গো পরিবহণ করতে ভাড়া বাবদ সরকারের প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রায় ব্যয় করতে হয়। বিএসসি কর্তৃক এ ধরনের পন্য পরিবহণ করায় বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।

এছাড়া জাহাজ ক্রয়ের জন্য ৬টি বিশেষ দিক তুলে ধরা হয়েছে। দেশের জ্বালানী ও খাদ্য নিরাপত্তা অধিকতর নিশ্চিত হবে, যেকোন সংকটকালীন সময়ে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে সংবেদনশীল পন্য পরিবহণে জাতীয় সংস্থা হিসেবে এ জাহাজ নিয়োজিত করা যাবে, দেশের সামুদ্রিক পরিবহণ অবকাঠামোর উন্নতি ঘটবে, এ জাহাজ প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নীট মুনাফা উপারজন করতে সক্ষম হবে,যা সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে, বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে পোর্ট চার্জ, রেজিস্ট্রেশন, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করবে এবং বাংলাদেশের নাবিক প্রশিক্ষণ ও দক্ষ নৌ জনবল তৈরিতে অবদান রাখবে।

নৌ-মন্ত্রণালয় ও ইআরডির মাধ্যমে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠানকে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় থেকে ৬টি নতুন জাহাজ ক্রয়ের একটি প্রস্তাব দেয়া হয়।(এর মধ্যে তিনটি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার ও তিনটি বাস্ক ক্যারিয়ার)। যা গত ২০১২ সালের ১৬ জুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

(ওএস/এটিআর/আগস্ট ০১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test