E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সরকারি কর্মকর্তাদের বিমানে ভ্রমণের নির্দেশ 

২০১৯ সেপ্টেম্বর ১৭ ১৮:৫৩:২৮
সরকারি কর্মকর্তাদের বিমানে ভ্রমণের নির্দেশ 

স্টাফ রিপোর্টার : আকাশপথে চলাচলের সময় যে রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট আছে, সেসব ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এখন বিমানে উঠলে গর্বে বুক ভরে যায়। আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সরকারি অফিসাররা যে যেখানেই যান, বাংলাদেশ বিমানেই যেতে হবে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিমান বাংলাদেশের চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে বাংলাদেশ। পৃথিবীর বহু দেশ দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও তাদের মূল্যস্ফীতি বেশি। আমরা প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি ধরে রাখতে পেরেছি। প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগসহ আমাদের অনেক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়েছে। তারপরও আমরা আমাদের দেশে চমৎকার একটা পরিবেশ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’

মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে ফিতা কেটে রাজহংসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে বিমানের বহরে সংযুক্ত হলো ড্রিমলাইনারটি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান বিমান বাহিনীর সাবেক এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী, সচিব মহিবুল হক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদ্য নিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোকাব্বির হোসেন।

রাডারের কারিগরি ত্রুটি সারানোর পর ড্রিমলাইনার রাজহংস ঢাকায় এসে পৌঁছায় গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর)। ওই দিন সকালে উদ্বোধনের কথা থাকলেও রাজহংস দেরিতে আসার কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। পরে আজ উদ্বোধনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার চুক্তি করে বিমান। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও সবশেষ ‘রাজহংস’ আসায় চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বিমানবহরে যোগ হলো। এর মধ্য দিয়ে সম্পাদিত চুক্তির ১০টি উড়োজাহাজের সবই বুঝে পেল বিমান।

বিমানের ১০টি বোয়িংয়ের মধ্যে আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস নামে চারটি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ ও বাছাই করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত নামে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং মেঘদূত ও ময়ূরপঙ্খী নামে দুটি বোয়িংয়ের ৭৩৭-৮০০ নামও দেন প্রধানমন্ত্রী।

একটানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে পারে ড্রিমলাইনার। এটি চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ জ্বালানি কম লাগে। অন্য তিনটি ড্রিমলাইনারের মতো রাজহংসের আসন সংখ্যা ২৭১টি। বিজনেস ক্লাস ২৪ আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা অন্যান্য আধুনিক সুবিধা, ইন্টারনেট ও ফোনকল করার সুবিধাও পাবেন।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test