E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আরামবাগ-দিলকুশা ক্লাবে জুয়ার সরঞ্জাম

২০১৯ সেপ্টেম্বর ২২ ১৫:৪০:৪১
আরামবাগ-দিলকুশা ক্লাবে জুয়ার সরঞ্জাম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানী মতিঝিলের চার ক্লাবে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ক্লাবগুলো হলো- আরামবাগ, দিলকুশা, মোহামেডান ও ভিক্টোরিয়া। রবিবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে অভিযান শুরু করেছে তারা।

এদের মধ্যে দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ পাশাপাশি অবস্থিত। এখানে অভিযান চালাচ্ছে মতিঝিল ও পল্টন থানা পুলিশ। অভিযানে এই দুটি ক্লাব থেকেই ক্যাসিনো ও জুয়ার বিপুল সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের এডিসি শিবলি নোমান। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একসঙ্গে চার ক্লাবে অভিযান চালানো হচ্ছে। তার নেতৃত্বে আরামবাগ ও দিলকুশা ক্লাবে অভিযান চলছে।

এডিসি শিবলি নোমান বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টায় আরামবাগ ক্লাবে গিয়ে দেখা যায়, আগে থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা। অন্ধকারে সবকিছু দেখা যাচ্ছিল না। তবে সেখানে ক্যাসিনো চলে সেটা বোঝা যাচ্ছিল।

তিনি বলেন, অভিযানের খবর শুনে সবাই পালিয়ে যায়। দিলকুশায়ও কাউকে পাওয়া যায়নি। এসব জুয়া-ক্যাসিনোতে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র‍্যাবের হাতে আটক হন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

সম্প্রতি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই ছাত্রলীগের পদ হারান শোভন-রাব্বানী। এরপর আটক হন খালেদ। শুক্রবার যুবলীগের অপর আলোচিত নেতা জি কে শামীমকে নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে আটক করা হয়।

রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করে র‍্যাব। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে জি কে শামীমের নিকেতনের ডি ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪ নম্বর বাসা ঘিরে ফেলে র‍্যাব। এর আগে নিকেতন এলাকায় জি কে শামীমের আরেকটি বাসা থেকে তাকে ডেকে আনা হয়। পরে তাকে আটক করেই অভিযান চালায় র‍্যাব। অভিযান শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে শামীমকে র‍্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়।

শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত)। এর মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে।

শুক্রবার রাতেই র‍্যাবের অভিযান পরিচালিত হয় রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে। আটক করা হয় ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে। অভিযানের সময় শফিকুলের কাছে সাত প্যাকেট গন্ধহীন হলুদ রঙের ইয়াবাসহ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া জব্দ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্যাসিনোতে খেলার কয়েন, স্কোরবোর্ড ও ৫৭২ প্যাকেট তাস। র‍্যাবের ধারণা, এ ক্লাবে ক্যাসিনো খেলা হতো।

ওই রাতেই রাজধানীর ধানমন্ডি ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেটি বন্ধ থাকায় সেখানে থাকা বারটি সিলগালা করে দেন র‍্যাব সদস্যরা।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test