E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেখ বোরহানুদ্দীন কলেজের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সাংবাদিক সম্মেলন 

২০১৯ অক্টোবর ২৭ ১৬:০২:৩৯
শেখ বোরহানুদ্দীন কলেজের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সাংবাদিক সম্মেলন 

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : শেখ বোরহানুদ্দীন কলেজ সম্পর্কে গণমাধ্যমে ভুল ও বানোয়াট তথ্য প্রচারে কলেজের কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে ও কলেজের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সাংবাদিক সম্মেলন সম্মেলন করেছে শেখ বোরহানুদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ পরিচালনা পরিষদ। 

গতকাল (শনিবার) শেখ বোরহানুদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ পরিচালনা পরিষদের আয়োজনে শিক্ষক লাউঞ্জে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান সাংবাদিক সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

এসময় তিনি পূর্বের তিনটি আলোচ্যসূচি তলে ধরেন। ১. মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক তানভীর আহমেদ হিজলের বিরুদ্ধে আনীত তদন্ত কমিটির সুপারিশ, ২. বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আজাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির সুপারিশ, ৩. উচ্চ মাধ্যমিক ব্যবহারিক পরীক্ষায় অধ্যক্ষ কর্তৃক নগদ ৫ লক্ষ টাকা গ্রহণের অভিযোগের তদন্ত কমিটির সুপারিশ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১ ও ২ নং আলোচ্যসূচিতে আলোচনা শেষে ৩ নং আলোচ্যসূচীতে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বলা হলে সভায় উক্ত তদন্ত কমিটি হাতে লেখা খসড়া প্রতিবেদন পেশ করে আলোচনা শুরুর একপর্যয়ে একদিন সময় প্রার্থনা করলে পরবর্তী ২০ অক্টোবর সকাল ১০ টা পর্যন্ত সভা মূলতবী করা হয়। সভাশেষ হতে না হতেই কতিপয় শিক্ষক ও শিক্ষিকা, বিভিন্ন মিডিয়াসহ অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, নগদ ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অপরাধে অধ্যক্ষকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে প্রকৃত তথ্য জেনে তারা রুম থেকে বের হয়ে যান।

হারুনর রশীদ খান বলেন, জমির ব্যাপারে অধ্যক্ষ চেকে স্বাক্ষর করার পর আমি স্বাক্ষর করেছি মাএ। এর পরবর্তীতে কোন কিছুতেই আমার কোন হস্তক্ষেপ ছিল না।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ অক্টোবর স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সাথে মতবিনিময় সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয় কলেজের বর্তমান পরিস্থিতির উদ্ভব কিভাবে হল? কে বা কারা এর জন্য দায়ী? এ সমস্ত বিষয়ে -শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি অডিট অধিদপ্তর -এই ত্রি-পক্ষের সমন্বয়ে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনতিবিলম্বে এই ব্যাপারে কলেজ পরিচালনা পরিষদ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

উল্লেখ্য, কলেজের নামে কেরানীগঞ্জের জমি ক্রয় করা হয়েছে। এ জমিতে কোন প্রকার সমস্যা না থাকলেও বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে অসত্য খবর ছড়ানো হচ্ছে। যখনই কলেজে নারী গঠিত বা অসত্য তথ্য এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে তদন্ত চলছে তখনই কলেজের কর্মকান্ড নিয়ে অসত্যও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো দুরবিসন্ধি বলেই মনে করছি।

(পিআর/এসপি/অক্টোবর ২৭, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test