E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আরও ২০টি পুশ বাটন কাউন্টডাউন সিগন্যাল বসছে উত্তরে

২০১৯ অক্টোবর ২৯ ১৫:০৮:০৬
আরও ২০টি পুশ বাটন কাউন্টডাউন সিগন্যাল বসছে উত্তরে

স্টাফ রিপোর্টার : পথচারীদের পারাপার নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর ২০টি স্থানে পুশ বাটন টাইম কাউন্টডাউন সিগন্যালসহ জেব্রাক্রসিং বসাবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

এসব পুশ বাটন টাইম কাউন্টডাউন সিগন্যাল ক্রসিং দিয়ে যেন শারীরিক প্রতিবন্ধীসহ সকল বয়সের মানুষ সহজে রাস্তা পারাপার হতে পারেন সেজন্য ফুটপাত রাস্তার সঙ্গে সমান করে মিলানো হবে। এছাড়া এসব স্থানে গাড়ির গতি কমানোর জন্য রেইজড জেব্রাক্রসিং তৈরি করা হবে।

জানা গেছে, এসব পুশ বাটন টাইম কাউন্টডাউন সিগন্যাল পথচারীদের পারাপারের জন্য প্রাথমিকভাবে সবুজ সংকেত হিসেবে ২৫ সেকেন্ড সময় প্রদান করবে। একই সঙ্গে গাড়ির গতি স্বাভাবিক রাখার জন্য একটি পথচারী সবুজ সংকেত অতিবাহিত হওয়ার পর গাড়ি চলাচলের জন্য ১২৭ সেকেন্ড সময় থাকবে। ওই সময়ে পথচারীগণ বাটনে চাপ দিলেও পথচারী পারাপারের জন্য সবুজ সংকেত প্রদান করা হবে না, কেবলমাত্র ১২৭ সেকেন্ড পরই পথচারী পারাপারের জন্য সবুজ সংকেত চালু হবে। পথচারী পারাপারের জন্য সবুজ সংকেত চালু হলে গাড়িকে থামানোর জন্য গাড়ির দিকে প্রদর্শনকারী লাল সংকেত দেখাবে।

ইতোমধ্যে এমন পুশ বাটন টাইম কাউন্টডাউন সিগন্যাল পাইলট প্রকল্প হিসেবে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গ্রিন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে চালু করে ডিএনসিসি। একইভাবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অনুরূপ একটি পুশ বাটন টাইম কাউন্টডাউন সংকেতসহ জেব্রাক্রসিং স্থাপনের কাজ চলছে। এ দুটি সিগন্যালসহ জেব্রাক্রসিং নির্মাণে প্রায় নয় লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয় করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোট ৪৮টি স্থানে পুশ বাটন টাইম কাউন্টডাউন সিগন্যালসহ জেব্রাক্রসিংয়ের চাহিদা প্রেরণ করেছে। এর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২০টি পুশ বাটন কাউন্টডাউন সিগন্যালসহ জেব্রাক্রসিং স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পথচারীদের নিরাপদে সড়ক পারাপার নিশ্চিতে ডিএনসিসির সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এ সিগন্যালগুলো বসানো হচ্ছে।

ডিএনসিসি বলছে, এগুলো নির্মাণের ফলে পথচারীরা এলোমেলোভাবে সড়ক পারাপার না করে সুশৃঙ্খলভাবে পারাপার হবেন। এসব সড়কে চলাচলরত যানবাহনের চালকরা জানবেন, সামনে নির্দিষ্ট জায়গায় এ সিগন্যাল আছে এবং সেখান থেকে পথচারীরা পারাপার হবেন। তাই তারা আগে থেকেই সাবধান হবেন এবং সিগন্যাল পয়েন্টে ধীরগতিতে গাড়ি চালাবেন বা লাল সংকেত দিলে থেমে যাবেন। পথচারী ও চালক যদি সচেতনতার সঙ্গে এ সিগন্যাল ব্যবহার করেন তাহলে সড়ক পারাপারে দুর্ঘটনা একেবারেই কমে আসবে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নতুন সিগন্যাল লাইটের সঙ্গে ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে। যেসব গাড়ির চালক ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করবেন তাদের গাড়ির নম্বর ক্যামেরা দিয়ে খুঁজে বের করা হবে। তাদের চিহ্নিত করে মামলা দেয়া হবে। ইতোমধ্যে পুলিশকে সে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

‘উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে আমাদের সুনাগরিক হতে হবে। ঢাকা শহরকে স্মার্টসিটিতে রূপান্তর করতে হবে’- বলেন উত্তরের মেয়র।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৯, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test