E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাউসার মোল্লার আত্নীয় পরিচয়ে বনানীতে ত্রাসের রাজত্ব ইমরান সিকদারের!

২০১৯ নভেম্বর ১৯ ২৩:৫৭:৪৭
কাউসার মোল্লার আত্নীয় পরিচয়ে বনানীতে ত্রাসের রাজত্ব ইমরান সিকদারের!

বিশেষ প্রতিনিধি : তিনি ছিলেন ব্যবসায়ী। একটা দুর্ঘটনায় বনানী ১৯ নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের বেশ কিছু নেতা হতাহত হলে ওয়ার্ডের নেতৃত্ব অস্তিত্ব সংকটে পরে। তখন বনানীর ক্ষুদে ব্যবসায়ী ইমরান সিকদারকে ওই ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের একটা পোস্ট দেয়া হয়! দেশের বাড়ী গোপালগঞ্জ জেলায় হওয়ায় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের তৎকালীন সভাপতি কাওছার মোল্লার দেশের বাড়ী গোপালগঞ্জে থাকার কারণে, খুব সহজেই বাগিয়ে নেন বনানী থানার ওই ওয়ার্ড সভাপতি পদ। আর পদ বাগানোর পরপরই ইমরান দিকদার শুরু করেন  দখল বানিজ্য ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন। 

কেন্দ্রীয় সভাপতির আত্নীয় পরিচয় দেয়া ইমরানকে বাঁধা দেওয়ার সাহস বনানী সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মী দেখাতেন না। সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় হঠাৎ জন্ম নেওয়া এই নেতা দখল করতে থাকেন ভিবিন্ন মার্কেটের দোকান, নিয়মিত চাঁদা তুলতে থাকেন বনানীর বিভিন্ন ক্ষুত্র - মাঝারি ব্যাবসায়ীদের থেকে! বিশেষ করে বনানী কাঁচা বাজার, বনামী ডিএনসিসি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাজ থেকে বিভিন্ন পরিমান টাকা সপ্তাহিক ও মাসিক হারে নিয়ে থাকেন ইমরান। এছাড়া বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা ও এসব কাজে জরিত ব্যবসায়ীদের থেকে নিয়মিত বকড়া আদায়, রিক্সা গ্যারেজ দখল, জায়গা বাড়ী দখল, সরকারি জমি দখলসহ নানা ধরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এই তঘাকথিত সেচ্ছাসেবক লীগের এই হঠাৎ নেতা ইমরানের বিরুদ্ধে।

এসব অনেক অনৈতিক ও অবৈধ কাজের প্রমাণ পাওয়ায় ইতিমধ্যে বিলুপ্ত করা হয়েছে ইমরান রাজত্বের আওতায় থাকা বনানীর এই বিতর্কিত ওয়ার্ড কমিটিটি.. কিন্তু ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত হলেও ইতি পুর্বে বনানী থাকা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদটি বাগিয়ে নেওয়ায় এখন তার রাজত্বের পরিধি বাড়িয়েছেন এই বিতর্ক হঠাৎ নেতা বা নেতার আত্নীয় নেতা ইমরান সিকদার।

কুড়াইল স্যাটেলাইট ইউনিট সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোস্তফাকে দিয়ে ওই এলাকায় অবৈধ বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সংযোগ দিয়ে নিয়মিত বিল তুলেন ইমরান সিকদার। সরকারী সম্পদের অবৈধ ব্যবহার ও সেই সব বিলের টাকা যাচ্ছে সেচ্ছাসেবক লীগের অভিযুক্ত নেতার পকেটে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের নিজ ওয়ার্ডের নেতা কর্মীরাও এসব অভিযোগের সত্যতার কথা শিকার করেছেন।

বনানীতে অবৈধ স্পা বা মেসেস পার্লার থেকে মাসিক চাঁদা আদায়, বনানীর সব ছোট আবাসিক হোটেল ও ডিএনসিসি সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের থেকে নিয়োমিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে। আর বনানীর এই নেতা তার এসব অবৈধ কার্যকলাপ পরিচালনা করেন বনানী ডিএনসিসি মার্কেটের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ব্যাক্তিগত কার্যালয় থেকে।

উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের সহকারী সম্পাদকের সাথে টেলিফোনে কথা হয় ইমরান সিকদারের সাথে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ইমরানসিকদারতার অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, আমার প্রতি অভিযোগ গুলো সম্পুর্ন ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার অপচেষ্টা আমি বলে মনে করছি।

(আরআর/এসপি/নভেম্বর ১৮, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test