E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রকল্পগুলো জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে

২০১৯ নভেম্বর ২৮ ১৮:১৪:০৬
প্রকল্পগুলো জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে

স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করে বলেছেন, এসব প্রকল্প দেশের জনগণের উপকারে আসবে। বিশেষ করে প্রকল্পের আওতাধীন স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) গণভবন থেকে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পগুলো হলো- পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে সৌর বিদ্যুৎ সুবিধার ব্যবস্থা, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি, কালিয়াকৈর, গাজীপুরে নির্মিত ‘ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার’, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কাপ্তাই লেকে নির্মিত ভ্রাম্যমাণ গবেষণা তরী (রিসার্চ ভেসেল) এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ৫টি নতুন জাহাজ উদ্বোধন।

‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনকালে দেশের প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয়, বাংলাদেশের একটি ঘরও অন্ধকার থাকবে না। প্রতিটি ঘরে আলো জ্বলবে। কাজের গতি বাড়বে, সময় বাড়বে। বিদ্যুতের আলোয় কাজ হবে।

তিনি বলেন, নদী বাংলাদেশের প্রাণ। নৌকা ও জাহাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাহন। বিশ্বের বিভিন্ন শহর, বন্দর ও সভ্যতা গড়ে উঠেছে নদী ও সমুদ্রকে কেন্দ্র করে। নদী ও সমুদ্রকে ব্যবহার করতে পারলে আমরা আরও উন্নত হবো।

শেখ হাসিনা বলেন, এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নৌপথের গুরুত্ব বোঝেনি। তারা শুধু সড়কপথের গুরুত্ব উপলব্ধি করে বিদেশিদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কাজ করেছে। ফলে নদীপথগুলো প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। আমদানি রফতানি জাহাজের মাধ্যমে করতে পারলে খরচ অনেক কমে যায়।

তিনি আরও বলেন, বিদেশিদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বিএনপি খুলনা শিপইয়ার্ড বন্ধ করে দিয়েছিল। তারা বলেছিল, এ শিপইয়াড রেখে বছরের পর বছর লস দেয়ার কোনো মানে হয় না। আমরা ক্ষমতায় আসার পর খুলনা শিপইয়ার্ড নেভির হাতে ছেড়ে দিয়েছি। এখন এটা লাভজনক প্রতিষ্ঠান। সরকারি ছাড়াও আমাদের দেশে অনেক বেসরকারি শিপইয়ার্ড গড়ে উঠেছে। তারা অনেক জাহাজ বিদেশে রফতানি করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের রয়েছে বিশাল সমুদ্রসীমা। ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সমুদ্র নিয়ে যে সমস্যা ছিল তার সমাধান হয়েছে। আমরা সমুদ্রে সম্পদ কীভাবে অর্জন করতে হয় এখন সেদিকে দৃষ্টি দেব। সমুদ্রের সম্পদ কাজে লাগাতে পারলে আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী হতে সময় লাগবে না।

তিনি বলেন, শুধু সমুদ্রসীমা নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন বড় বড় মাছ উৎপাদন ছাড়াও অন্যান্য সম্পদ কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। সে কারণে গবেষণার প্রয়োজন, গবেষণা করলে নতুন নতুন উদ্ভাবনী সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুল উশৈসিং, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনের শীর্ষ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২৮, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test