E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ডেভলপারদের বাটপারি থেকে হুঁশিয়ার থাকার আহ্বান মেয়রের

২০১৯ ডিসেম্বর ১১ ১৫:২৬:৫১
ডেভলপারদের বাটপারি থেকে হুঁশিয়ার থাকার আহ্বান মেয়রের

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের কিছু ডেভলপার বাটপারি করে, এমন মন্তব্য করে তাদের থেকে রাজধানীবাসীকে হুঁশিয়ার থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। 

মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটির উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, যে ডেভলপাররা সেখানে কাজ করেছে, তারা কিন্তু দেখিয়েছে সেখানে খেলার মাঠ আছে, কমিউনিটি সেন্টার আছে, বাজার আছে। পরে এসব বিক্রি করে তারা চলে গেছে। এইসব বাটপারি থেকে আপনারা হুঁশিয়ার থাকবেন। যারা শুধু নিজেদের স্বার্থ দেখে, জনগণের স্বার্থ দেখে না।

বুধবার রাজধানীর উত্তর বাড্ডার সাতারকুলে আয়োজিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন সম্প্রসারিত পাঁচটি অঞ্চলের ১৮টি ওয়ার্ডে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের উদ্বোধনের আগে এসব কথা বলেন তিনি।

তার নির্বাচনী এলাকার কাউন্সিলর ও জনগণের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে মেয়র বলেন, আমি ফুটপাতে কোনো অবৈধ দখলদার দেখতে চাই না। এর দায়িত্ব আমাদের কাউন্সিলররা নেবেন। আমার সাথে পুলিশ কমিশনারের আলাপ হয়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকার প্রত্যেকটি থানার ওসি সাহেবের সাথে কথা হয়েছে, ডিসিদের সাথে কথা হয়েছে, জয়েন্ট কমিশনারের সাথে কথা হয়েছে। আমি চাই না কোনো জায়গায় কোনোভাবেই ফুটপাত দখল করা হোক।

সরকারি খাসজমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, সিটি মেয়র হিসেবে আমি বলতে চাই- সরকারি জায়গা কিংবা খাস জমি ভরাট করে যদি আপনারা কোনো কিছু নির্মাণ করেন সে মাটি ভরাট কিন্তু আপনাদের জন্য স্থায়ী হবে না। আমি বলছি, আমি থাকা অবস্থায় এক ইঞ্চি জমিও কেউ দখল করতে পারবে না। এসব জনগণের জায়গা। এসব সরকারের জায়গা। এসব কারো ব্যক্তিগত জায়গা না। আপনারা বালি ফেলে খাল দখল করে আপনাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়বেন আর আমাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করবেন না, আগামী প্রজন্মের কথা চিন্তা করবেন না, এটা হবে না। এখানে অনেকেই কনস্ট্রাকশন করছেন, বালি ফেলছেন। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই নতুন এলাকার জন্য, বর্ধিত এলাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার কথা হয়েছে। উনি নির্দেশ দিয়েছেন, সেই নির্দেশ মোতাবেক কাজ হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি অনেক খাস জমি অনেকেই দখল করে নিয়ে গেছে। সেই খাসজমি নিয়ে কাজ হচ্ছে। নতুন প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে মাঠ থাকবে, কমিউনিটি সেন্টার থাকবে এবং খেলার জায়গা থাকবে। এসব হবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।

মেয়র বলেন, আমি বলতে চাই এই এলাকাতে যেসব খাস জমি আছে কাউন্সিলদের কাছে অনুরোধ করবো এসব আমাদের কাছে দিন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী জলাশয়ের মধ্যে কোনো ধরনের স্থাপত্য নির্মাণ করা যাবে না। এটা আমাদের প্রতিহত করতে হবে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, এই এলাকায় কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছিল না। ছিলনা কোনো মশকনিধন কর্মী। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আগে যে ইউনিয়নগুলো ছিল সেগুলো আস্তে আস্তে শহরের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি ইউনিয়নকে আমাদের সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডের ভেতরে আনা হয়েছে। আমরা আজকে যাকে গুলশান-বনানী বলি, সেগুলো কিন্তু আগে ইউনিয়ন ছিল। ঠিক তেমনিভাবেই আজকের এই সাঁতারকুল যেন গুলশানের থেকেও ভালো একটি শহর হয়। গুলশানে যারা বসবাস করে তারাও মানুষ, আপনারা এখানে যারা বসবাস করেন আপনারাও মানুষ। সুতরাং সবার জন্য সমান অধিকার। সিটি করপোরেশন থেকে সেই নিশ্চয়তা দেবেন আমাদের নির্বাচিত কাউন্সিলররা।

তিনি বলেন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের প্রত্যেক ওয়ার্ডে ২৫ জন করে নতুন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ঠিক তেমনি প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ১৩ জন করে আলাদা মশক নিয়ন্ত্রক লোক থাকবে। কাজ ঠিকভাবে হচ্ছে কি-না এর দায়িত্ব আমাদের কন্ট্রাকটরদের। আর কন্ট্রাকটররা কাজ করছেন কি-না সেটা দেখার দায়-দায়িত্ব এলাকার জনগণের ও কাউন্সিলরদের, আর সিটি করপোরেশনের। যদি কোনো কাউন্সিলর অভিযোগ করেন তার এলাকায় পরিষ্কারের কাজ ঠিক মতো হচ্ছে না, সেই দায়-দায়িত্ব কিন্তু আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীকেই নিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ করবেন, ততক্ষণ আল্লাহকে হাজির-নাজির করে কাজ করতে হবে। আর ভালোভাবে কাজ না করলে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বাদ দিয়ে নতুন কর্মী নেয়া হবে।

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এম মঞ্জুর হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার শেখ সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test