E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

থার্টি ফার্স্টে  বন্ধ থাকবে বার, উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠানে ‘না’

২০১৯ ডিসেম্বর ১২ ১৬:০৪:১৫
থার্টি ফার্স্টে  বন্ধ থাকবে বার, উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠানে ‘না’

স্টাফ রিপোর্টার : ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহরের উদযাপনে (থার্টিফার্স্ট নাইটে) ঢাকাসহ সারাদেশের কোথাও উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আসন্ন বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘২৫ ডিসেম্বর বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট খুব কাছাকাছি। খ্রিস্টান ভাইয়েরা যাতে সুন্দরভাবে বড়দিন উদযাপন করতে পারেন এবং থার্টিফার্স্ট নাইটে যাতে কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা না হয় সেজন্য এই সভা করেছি।’

ঢাকাসহ সারাদেশে প্রায় ৩ হাজার ৫০০টি চার্চের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি খ্রিস্টানদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী কাজ করবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কাকরাইল, মিরপুর, বনানীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চার্চে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। সিসি ক্যামেরাসহ বিশেষ প্রয়োজনে প্রবেশ মুখে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টরসহ অন্যান্য ব্যবস্থা থাকবে।’

‘বড়দিন উপলক্ষে পুলিশের কন্ট্রোল রুম থাকবে। চার্চের একজন করে ফোকাল পয়েন্টে যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে।’

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে সব চার্চগুলোতে। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কূটনৈতিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।’

থার্টিফাস্ট নাইটে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘খ্রিস্ট্রীয় নববর্ষ কেন্দ্র করে রাস্তায়, ফ্লাইওভারে কনসার্ট, নাচ-গানের আয়োজন করা যাবে না। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে উন্মুক্ত স্থানে কোন ধরনের গান-বাজনার আয়োজন করা যাবে না। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে সব বার বন্ধ থাকবে। এরই মধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চলবে।’

তিনি বলেন, ‘বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ভুভুজেলা বাজানো, পটকা ফোটানো এবং আতশবাজি ফোটানো যাবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা থেকে ১ জানুয়ারি সকাল ১০টা পর্যন্ত বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।’

‘৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার থাকা গাড়িগুলো ভেতরে ঢুকতে পারবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট সুন্দরভাবে হবে। সুশৃঙ্খল অবস্থায় থাকবে এটাই আমরা আশা করি।’

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্টনাইট নিয়ে কোন ধরনের আশঙ্কা আছে কি না- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কোনো আশঙ্কা নেই, আমি আগেই বলেছি আমরা প্রতিটি বিশেষ দিনে কিংবা জাতীয় দিবসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আগে সভা করে থাকি। যাতে সবাই নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান পালন করতে পারেন।

সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারারা সহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১২, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test