E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘জনসংখ্যা সম্পদ, ইচ্ছা করে কমানোর পক্ষে নন প্রধানমন্ত্রী’

২০১৯ ডিসেম্বর ১৮ ১৭:৩২:২৫
‘জনসংখ্যা সম্পদ, ইচ্ছা করে কমানোর পক্ষে নন প্রধানমন্ত্রী’

স্টাফ রিপোর্টার : জনসংখ্যা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রায়ই বলেন, এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের সম্পদের প্রয়োজন, সম্পদ আমাদের মানুষ। সেখানে আমরা ইচ্ছা করে কাটব না (কমাব না)। হ্যাঁ, তাদেরকে একটু প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাদেরকে পৃথিবীর সঙ্গে খাপ খাওয়ার মতো করে সৃষ্টি করতে হবে। নানা ধরনের ওষুধ-বিষুধ দিয়ে এটাকে কমিয়ে আনব, এটার সঙ্গে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) একমত নন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘স্টাডি অন সাপ্লাই চেইন রিলায়েন্স অব আরএমজি সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

কর্মশালায় এক বক্তা জানান, ‘আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমাদের শ্রমিকের ঘাটতি হতে পারে’। বিষয়টিতে আশাবাদী হয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘একটা মন্তব্য শুলনাম, আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমাদের শ্রমিকের ঘাটতি হতে পারে। খুব আনন্দ লাগছে শুনে। কারণ, আমরা প্রায়শই এখানে-ওখানে যাই। আমরা আক্রমণের মুখে দাঁড়াই যে, এত লোক আপনারা কী করছেন? আমাদের চমৎকার একটা পরিবারকল্যাণ বা পরিকল্পনা এ দেশে ছিল। অত্যন্ত শক্তিশালী। আপনারা কেউ কেউ বললেন, অবহেলা করছেন। অবহেলার দরুণ লোক সংখ্যাকে আপনারা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন না। সবকিছু কলাপস (ধসে পড়বে) করে যাবে-এই ধরনের ভয়-ভীতির মধ্যে আমরা থাকি। তার মধ্যে একটা আশার আলো তার কথায় পাওয়া গেল। আমার নিজেরও ধারণা, শেষমেশ বোধহয় একটা উপায় বের হয়ে আসবে।’

কোনো এক বন্যায় রাজধানীর বিমানবন্দর পর্যন্ত তলিয়ে গিয়েছিল উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা মন্ত্রিসভায় আলোচনা করছিলাম, এরকম পরিস্থিতি আবার তৈরি হলে আমরা কী করব। কোথায় যাব? যেমন, ঢাকা-চট্টগ্রাম একটি মাত্র রাস্তা। সেটা যদি কোনো কারণে নস্যাৎ হয়ে যায়, তাহলে তো আমাদের চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার কোনো পথ থাকবে না!’

চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে বড় প্রকল্প আসছে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের মাথায় যে নেই, তা নয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম একটা এক্সপ্রেস ওয়ে তৈরি করার প্রাথমিক চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছি। আরও বড় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।’

এসময় বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ ভ্যান গুয়েন, পরিকল্পন বিভাগের সচিব মো. নুরুল আমিনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test