E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধর্ষকের কুশপুত্তলিকা পোড়ালেন শিক্ষার্থীরা

২০২০ জানুয়ারি ০৭ ১৫:১৩:৫৪
ধর্ষকের কুশপুত্তলিকা পোড়ালেন শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় বিচারের দাবিতে আজও (মঙ্গলবার) আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে তারা ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে সহপাঠীর ধর্ষণের বিচার চাইছেন। তাদের মুখ কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা ও হাতে ব্যানার-ফেস্টুন দেখা গেছে।

একই দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের আশপাশে অনেক শিক্ষার্থী বিচ্ছিন্নভাবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। দুপুর ১২টার দিকে এখানে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা ধর্ষকের প্রতীকী কুশপুত্তলিকা তৈরি করে তা পোড়ান।

‘ধর্ষকের বিচার চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘হ্যাং দ্য রেপিস্ট (ধর্ষককে ফাঁসি দাও)’, ‘এই ধর্ষণ উপত্যকা আমার দেশ নয়’ লেখাসম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাবির বেগম রোকেয়া হলের সামনের সড়কে প্রতিবাদী আলপনা এঁকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। হলের শিক্ষার্থীরা ‘বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি পরিবর্তনের’ পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন।

এদিকে ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে দুই-একদিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেছেন, আজ মেয়েটির গুরুত্বপূর্ণ কোনো ট্রমা নেই। সে আগের ট্রমা কাটিয়ে উঠেছে। তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে। বোর্ড চিকিৎসকরা বললে তাকে দু-একদিনের মধ্যে ছেড়ে দেয়া হবে।

এ ঘটনায় কুর্মিটোলায় সড়কের পাশের দুটি সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করা হবে।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

রবিবার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাসে রওনা দেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন।

এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে।

ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢামেকে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।

এ ঘটনায় কুর্মিটোলা থেকে ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ঢামেক ফরেনসিক বিভাগ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পেয়েছে।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক বলেন, মামলার এজাহারে মেয়েটিকে একজন ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০৭, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test