E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

১৯ মার্চ প্রথমবারের মতো সারাদেশে উদযাপিত হবে পােল্ট্রি দিবস

২০২০ জানুয়ারি ১৪ ১৪:১৭:৩৫
১৯ মার্চ প্রথমবারের মতো সারাদেশে উদযাপিত হবে পােল্ট্রি দিবস

স্টাফ রিপোর্টার : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে দেশীয় পােল্ট্রি শিল্প চলতি বছর থেকে তাদের ক্যালেন্ডারে যুক্ত করতে যাচ্ছে আরও একটি নতুন দিবস- যার নাম দেয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক পােল্ট্রি দিবস। ১৯ মার্চ সারাদেশে উদযাপিত হবে ‘পােল্ট্রি দিবস'।

প্রতিটি মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধানের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতিকে সম্মানজনক অবস্থানে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্য নিয়েই বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে দেশীয় পােল্ট্রি শিল্পের পক্ষ থেকে নতুন এ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ওয়ার্ল্ডস পােল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসােসিয়েশন- বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়াপসা-বিবি’র সভাপতি আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান বলেন, ‘আগামী ১৯ মার্চ সারাদেশে উদযাপিত হবে পােল্ট্রি দিবস। পােল্ট্রি দিবস হচ্ছে এমন একটি দিন যে দিনটি জুড়েই থাকবে পােল্ট্রি নিয়ে নানা আয়ােজন।’

তিনি বলেন, এদিনে দেশের স্বনামধন্য বাবুর্চিদের দিয়ে পােল্ট্রি’র মাংস ও ডিমের মজার মজার খাবার রান্না করা হবে, চলবে প্রতিযােগিতা। শিশুদের জন্য থাকবে ফান গেমস, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক আলােচনা সভা। এছাড়াও হ্রাসকৃত মূল্যে ডিম ও মুরগির মাংস বিক্রির ব্যবস্থাও থাকবে। তবে সবকিছু ছাড়িয়ে পােল্ট্রি’র মাংস যে কতটা সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত সে বার্তাটি পৌঁছে দেয়াই হবে এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য।

ওয়াপসা-বিবি'র সাধারণ সম্পাদক ডা. মাে. আলী ইমাম বলেন, ‘পােল্ট্রি’ হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক উৎপাদিত মাংস। বিশ্বে উৎপাদিত মােট মাংসের প্রায় ৩০ শতাংশই পােল্ট্রি থেকে আসে। আর বাংলাদেশে মােট প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৪৫ শতাংশের যােগান দেয় পােল্ট্রি খাত।

ওয়াপসা-বিবি’র সাবেক সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, পুষ্টি সূচকে বাংলাদেশ পূর্বের চেয়ে যথেষ্ঠ অগ্রগতি অর্জন করলেও অপুষ্টির শিকার মানুষের সংখ্যা এখনও নিতান্তই কম নয়। অপুষ্টির কারণে মানুষ নানাবিধ রােগে আক্রান্ত হচ্ছে, কম ওজনের শিশুর জন্ম হচ্ছে, শিশুরা খর্বাকৃতির হচ্ছে, রক্তস্বল্পতা, অকাল বার্ধক্য, অকালে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, এমনকি অকাল মৃত্যুর কারণও ঘটছে। সবচেয়ে ভয়ের বিষয়টি হচ্ছে অপুষ্টির প্রভাব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়। আর সবচেয়ে ভরসার বিষয়টি হচ্ছে- একটু সচেতন হলে খুব সহজেই এ অপুষ্টির অভিশাপ থেকে আমরা মুক্ত হতে পারি এবং সেজন্য অনেক বেশি টাকা খরচেরও প্রয়ােজন পড়ে না। পােল্ট্রি আমাদের জন্য সে সুবিধাটিই এনে দিয়েছে ।

তিনি আরও বলেন, নিরাপদ পােল্ট্রি উৎপাদন নিয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি সজাগ এখন পােল্ট্রি শিল্প।অ্যান্টিবায়ােটিকের অযাচিত ব্যবহার বন্ধ করার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সাথে যৌথ উদ্যোগে তৃণমূল খামারিদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে, এমনকি দেশের বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক দেশে এনে মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে নিরাপদ পােল্ট্রির ডিম ও মাংস উৎপাদনে অনেকখানি এগিয়েছে তার প্রমাণ হচ্ছে-পােল্ট্রি শিল্পে অ্যান্টিবায়ােটিক নয় বরং প্রােবায়ােটিক, প্রিবায়ােটিকের ব্যবহার বেড়েছে। খামারিদের এ সচেতনতার কারণেই ব্রয়লার মুরগির মাংস এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও নিরাপদ দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানাে হয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের হিসাব মতে- চলতি অর্থবছরে এফ.এ.ও. নির্দেশিত ১০৪টি ডিমের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ হয়েছে। তাছাড়া মাংসের মাথাপিছু বার্ষিক চাহিদা ৪৩ দশমিক ২৫ কেজির বিপরীতে গত বছরই ৪৫ দশমিক ১০ কেজি উৎপাদিত হয়েছে। অর্থাৎ ডিম ও মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। তাই পােল্ট্রি শিল্পের দৃষ্টি এখন রফতানি বাজারের দিকে।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৪, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test