E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ অ্যানিমেটেড মুভি আসছে মুজিববর্ষে 

২০২০ জানুয়ারি ২৮ ১৫:৪৪:১৯
‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ অ্যানিমেটেড মুভি আসছে মুজিববর্ষে 

স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ অঙ্গীকার করেছি, ২০২০ সালে অর্থাৎ মুজিববর্ষে আমরা ১০০ ঘণ্টা অতিরিক্ত বেশি কাজ করে জনগণের সেবা করব। ১০০ টিরও বেশি ডিজিটাল সার্ভিস আমরা জনগণের জন্য উন্মুক্ত করব। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে প্রায় একশ মিলিয়ন মানুষ সেবা পাবে।

গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন জুনাইদ আহমেদ পলক। মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমরা একশটি উদ্যোগকে সফলভাবে সবার কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১০০টি স্টার্টআপকে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র‍্যান্ড প্রদান করব। যেখানে ১০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত তাদেরকে প্রদান করা হবে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ড আমরা চলমান রাখব।’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি অ্যানিমেটেড মুভি বানানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশি যারা অ্যানিমেটেররা আছেন তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ অবলম্বনে অ্যানিমেটেড মুভি তৈরি করছে। আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি টিম এই অ্যানিমেটেড মুভিটা বানাচ্ছে। কাজ শুরু হয়েছে। হয়তো বা আরও বেশ কিছু সময় লাগবে। এটি ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের একটি মুভি হবে। আমরা আশা করছি, মুজিববর্ষের মধ্যেই এই চলচ্চিত্রটা আমরা উন্মোচন করতে পারব।”

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি যে, আমরা শুধুমাত্র উৎসবের পরিবেশেই নয়, এটাকে একটি অর্থবহ বছর হিসেবে যেন পালন করতে পারি। তার জন্য এই ২০২০ সাল একদিকে যেমন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, অপরদিকে ২০২১ সাল আমাদের বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রসঙ্গে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক অভিন্ন অবিচ্ছেদ্য। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। তাই আমরা আইসিটি বিভাগ থেকে কর্মের মধ্য দিয়ে, সেবার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে মুজিববর্ষে স্মরণ করতে চাই। এই ২০২০ সালকে স্মরণীয় রাখতে চাই।’

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) টেকনো ৭১ উদ্ভাবিত জননিরাপত্তাবিষয়ক ‘স্বাধীন’ অ্যাপ উদ্বোধন করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এতে স্পন্সর করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাধীন সিকিউরিটি অ্যাপটিতে আমরা যে ফিচারগুলো দেখতে পেয়েছি, তাতে এটি অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ বলে মনে হয়েছে। এটার মধ্যে দিয়ে একটা কমিউনিটি বিল্ডিং করতে পারব। যারাই এই অ্যাপটি ব্যবহার করবেন তারা নোটিফিকেশন পাবেন। অ্যাপটির ব্যবহারকারী সদস্য কোনো রকম বিপদে পড়লে আশপাশে দুই-এক কিলোমিটারের মধ্যে যারা আছেন, তারা নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন। কারণ যিনি বিপদগ্রস্ত হন তার পক্ষে কিন্তু অনেক সময় ফোন করাও সম্ভব হয় না।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমাদের ৯৯৯-এ যে কল সেন্টার আছে, সেখানে হয়তো ফোন করতে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে আক্রমণকারী বুঝে যেতে পারেন। ফলে তিনি ফোন করার সুযোগ না-ও পেতে পারেন। তবে বিপদের আশঙ্কা দেখলেই এই অ্যাপ ব্যবহারকারী যদি অ্যাপের সিস্টেমটা চালু করে দেন, তাহলে তার আশপাশের স্বাধীন অ্যাপ ব্যবহারকারী যারা আছেন তারা নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন। তারা ম্যাপ ধরে টু দ্য পয়েন্টে চলে আসতে পারবেন, বা অন্যদের জানাতে পারবেন। তাই এই অ্যাপটা একটি ভালো এবং কার্যকরী অ্যাপ।’

অ্যাপটিতে কিছু ফিচার যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এই অ্যাপের সঙ্গে লোকাল পুলিশ স্টেশনগুলো, হাসপাতাল, ফায়ার স্টেশনগুলো যুক্ত করতে হবে। যেন প্রতিষ্ঠানগুলোও যুক্ত হতে পারে। আমাদের নিকটবর্তী যে পুলিশ স্টেশন আছে সেখানেও কিন্তু একটি করে স্মার্টফোন সরকারের তরফ থেকে দেয়া আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের তরুণদের যারা উদ্ভাবনীমূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে এবং প্রযুক্তিনির্ভর সোশ্যাল প্রবলেমগুলোকে অ্যাড্রেস করে হোম গ্রোন সলিউশন নিয়ে আসছে, আইসিটি বিভাগ বরাবরই তাদের পাশে আছে এবং থাকবে।’

অ্যাপটিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ স্পন্সর করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ধন্যবাদ জানান জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘আমরা আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে এক হাজার পুলিশ স্টেশনকে হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড ফিক্সড কানেকটিভিটি দিয়েছি। টেকনো ৭১ উদ্বাবিত জননিরাপত্তা বিষয়ক স্বাধীন অ্যাপ ইশতেয়াক হাসান সুমন বানিয়েছে এবং স্পন্সর হিসেবে আছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। এজন্য এই গ্রুপটিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই স্বাধীন অ্যাপটি তাদের ডেভেলপার টিমকে নিয়ে আরও নতুন নতুন ফিচার সংযুক্ত করবে বলে আশা করছি।’

‘এই অ্যাপটি তৈরি করার জন্য প্রাইভেট সেক্টরের ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করেছেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এখানে এগিয়ে এসেছেন। আমি আশা করব, আমাদের তরুণ উদ্ভাবকদের সমাজের এই ধরনের কল্যাণমূলক কাজ, প্রযুক্তিনির্ভর কাজে লাগাতে প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসবে। যে উদ্ভাবনগুলো আছে সেগুলোতে শুধু সরকারি নয় বেসরকারি খাত, সফল ব্যবসায়ী যারা আছেন তারাও এঞ্জেল ইনভেস্টর হিসেবে এগিয়ে আসবেন, বিনিয়োগ করবেন-সেটাই আমাদের আশা থাকবে’-যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৮, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test