E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

সৌদি থেকে খালি হাতে ফিরলেন নারীসহ আরও ১৮৩ জন

২০২০ ফেব্রুয়ারি ১৩ ১৮:২১:২৪
সৌদি থেকে খালি হাতে ফিরলেন নারীসহ আরও ১৮৩ জন

স্টাফ রিপোর্টার : সৌদি আরব থেকে ২০ নারীসহ আরও ১৮৩ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে সৌদি এয়ারলাইন্সের দুটি বিমানে দেশে ফেরেন তারা।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, বুধবার রাত রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের (এসভি-৮০৪) বিমানে ৮৯ জন এবং রাত ১টা ১০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের আরেকটি (এসভি-৮০৮) বিমানে ফেরেন ৯৪ জন বাংলাদেশি।

জানা গেছে, দেশে ফেরত আসাদের একজন সাথী বেগম (৩০) এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে, বিমানবন্দর থেকে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহায়তায় তাকে উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

সাথী জানান, বছরখানেক আগে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সৌদি আরবে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে তাকে নির্যাতন করতেন নিয়োগকর্তা।

একই কারণে দেশে ফিরেছেন ঢাকার হিরা খাতুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবেদা খাতুন, সুনামগঞ্জের আমিরুন বেগম, মৌলভীবাজারের ফারজানা আক্তারসহ ২০ নারী।

বুধবার ফেরত আসা পাবনার জেলার শরিফ জানান, মাত্র এক বছর আগে সৌদি আরব গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও তাকে শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হয়।

কিশোরগঞ্জের শাকিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাইরুল ইসলামের ঘটনাটাও এক। কোনো কারণ ছাড়াই এক বছরের মাথায় দেশে ফিরতে হলো তাদের। তাদের সঙ্গে ফিরেছেন পিরোজপুরের শামিম, ময়মনসিংহের আমিন, কুমিল্লার বাবুল ও রশিদসহ ১৮৩ কর্মী।

প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বরাবরের মতো গতকালও ফেরত আসাদের ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে জরুরি সহায়তা দেয়া হয়।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতেই সৌদি থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭৫ নারীসহ ৩ হাজার ৬৩৫ বাংলাদেশি। আর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে মোট ৬৪ হাজার ৬৩৮ কর্মী দেশে ফিরেছেন, যাদের পরিচয় ডিপোর্টি।

শরিফুল হাসান বলেন, ফেরত আসা প্রবাসীদের আমরা শুধু বিমানবন্দরে সহায়তা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছি না, তারা যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য কাউন্সিলিং, দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও আর্থিকভাবেও পাশে থাকার চেষ্টা করছি। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সবাই মিলে কাজটি করতে হবে। পাশাপাশি এভাবে যেন কাউকে শূন্য হাতে ফিরতে না হয় সেজন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে দায়িত্ব নিতে হবে। দূতাবাস ও সরকারকেও বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test