E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাভার থানার ওসিসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

২০২০ ফেব্রুয়ারি ২৭ ১৮:৪০:৫০
সাভার থানার ওসিসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার : মামলা না নিয়ে অপহরণকারীদের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে সাভার থানার অফিসার ইনচার্জসহ (ওসি) ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক মানবাধিকারকর্মী। এ মামলায় ওসি বাদে আরও তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহারের আদালতে মামলাটি করেন ‘মানবাধিকার খবর’ নামে মাসিক সম্পাদক ও মানবাধিকারকর্মী রিয়াজ উদ্দিন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৩০ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সাভার থানার ওসি এফ এম শাহেদ হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকারিয়া, উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলি, সাভার থানার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক, অপহরণকারী বৃষ্টি, তার স্বামী শুধাংশ রায়, নয়ন কুমার ও রনি। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা হয়, মামলার বাদী রিয়াজের সঙ্গে গত বছর ডিসেম্বরে আসামি বৃষ্টির পরিচয় হয় ফেসবুকে। বৃষ্টি বাদীকে একটি ছেলেসহ বিভিন্ন অসহায়ত্বের কথা বলেন। বাদী মানবাধিকারকর্মী হওয়ায় তার কাছে সহায়তা চান এবং সরেজমিনে অসহায়ত্ব দেখে প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ করেন। বাদী সরল বিশ্বাসে আসামি বৃষ্টির কথায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি সাভার বাসস্ট্যান্ড হয়ে হেমায়েতপুরের বালুর মাঠের সোহরাব হোসেনের বাড়িতে দুপুর ১টার দিকে যান। সেখানে তিন-চারজন ছেলে তাকে বৃষ্টির ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যান। বাড়িতে ঢোকার পর দরজা বন্ধ করে তাকে বেঁধে মারধর শুরু করেন এবং তার কাছে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা, মোবাইল, ক্যামেরা, এটিএম কার্ড নিয়ে যান। এরপর নির্যাতন করে এটিএম কার্ড ও বিকাশের পিন নম্বর নিয়ে ৬ হাজার টাকা তুলে নেন। এরপর বাদীর মোবাইল নম্বর থেকে তার স্ত্রীসহ বিভিন্ন জনকে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। কিন্তু পরে কোনো মুক্তিপণ না পেয়ে বিকেল ৪টার দিকে সাভার এলাকায় ছেড়ে দেন। এরপর বাদী সাভার থানায় যান এবং এ বিষয়ে অভিযোগ করেন।

আসামি সাভার থানার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে অপর আসামিদের গ্রেফতার করেন। এ সময় আসামি বৃষ্টি, নয়ন কুমার, রনি ও অজ্ঞাত এক নারীকে থানায় নিয়ে আসেন।

থানায় আসার পর মামলার প্রস্তুতির একপর্যায়ে পুলিশ বাদীকে আসামিদের সঙ্গে সমঝোতা করতে বলেন। সমঝোতা না করলে উল্টো ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মামলায় বাদীকে মামলা দিয়ে আদালতে চালানের ভয় দেখান। পরে বাদীর কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে থানা ছাড়তে বাধ্য করেন। এরপর বাদী জানতে পারেন আটকরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। তাদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test