E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঘরবন্দি মানুষের জন্য পুলিশের ‘ডোর টু ডোর শপ’

২০২০ মার্চ ২৮ ১৪:১৪:০১
ঘরবন্দি মানুষের জন্য পুলিশের ‘ডোর টু ডোর শপ’

স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ ও ঘরবন্দি মানুষের সহায়তায় চট্টগ্রামে নগর পুলিশের একের পর এক অনন্য উদ্যোগ চমকে দিচ্ছে দেশবাসীকে। এবার ১০ দিনের অঘোষিত লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রয়োজন মেটাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিন পুলিশ কমিশনার’র (সিএমপি) উদ্যোগে চালু হচ্ছে ‘ডোর টু ডোর শপ’।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘করোনা ঝুঁকির কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। বলা যায় তারা এক প্রকার গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন। তাই কয়েকটি থানার পুলিশ সদস্যরা মানুষের জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ওষুধ তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন। সামাজিক দায়বদ্ধাতা থেকে বিষয়টিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে করার চেষ্টা করছি। এখন থেকে পুলিশ সদস্যদের কয়েকজনের একটি টিম সবসময় এ কাজে নিয়োজিত থাকবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘করোনা সামলাতে বিজ্ঞানীরা এই মুহূর্তে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তাতে মানুষ চাইলেই নিত্য প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না। এ কারণে নগরের ১৬টি থানাতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৮টি থানা তাদের কাজ শুরু করেছে।’

এসময় তিনি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধসহ যেকোনো প্রয়োজনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিন পুলিশের হটলাইন নম্বরে (০১৪০০০৪০০৪০০) ফোন করার আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, ২৬ মার্চ থেকে দেশব্যপি অঘোষিত লকডাউন শুরুর পর কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন ঘোষণা দেন, প্রয়োজনে জরুরি জিনিসপত্র ও ওষুধ সামগ্রী মানুষের বাসায় পৌঁছে দেবেন তারা। এর পরপরই পতেঙ্গা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া, পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়াসহ বাকি ওসিরাও এমন উদ্যোগ নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান। নগর পুলিশ কমিশনার বিষয়টিকে এবার প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিলেন।

বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে গিয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘নগররবাসীকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করেছিলাম। তারা অনুরোধ রেখেছেন। কথা দিয়েছিলাম প্রয়োজনে ঘরের বাজারও আমরা দিয়ে আসব। সেই কথাও রেখেছি। এখন কমিশনার স্যারের নির্দেশে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। যারা সার্বক্ষণিক এ কাজটি তদারকি করবেন। এ জন্য একটি গাড়ির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। নগরবাসী নিত্য প্রয়োজনীয় যেকোনো দ্রব্যের জন্য ফোন করলে পুলিশ তার বাসায় পণ্য পৌঁছে দেবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আপাতত আমরা মানুষের চাহিদা অনুসারে কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি। চাহিদা বেশি হলে, প্রয়োজন বুঝে গাড়িতেই দোকান বসানো হবে। ভাসমান সেই দোকান থেকে নগরবাসী ন্যায্য দামে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।’

(ওএস/এসপি/মার্চ ২৮, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test