E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দেশে আরও দুইজন করোনায় আক্রান্ত

২০২০ এপ্রিল ০২ ১৩:৫৪:২১
দেশে আরও দুইজন করোনায় আক্রান্ত

স্টাফ রিপোর্টার : মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে।

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। ব্রিফিং করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখার পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের শরীরে করোনাভাইরাস আছে বলে শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে। তবে নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি।

ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।ঢাকায় ছয়টি এবং ঢাকার বাইরে চারটি প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যেই নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে নমুনা পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পিসিআর মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে। খুব শিগগির এগুলোতে কাজ শুরু হবে।

তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সন্দেহভাজন রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিকটস্থ ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর অনুরোধ জানান।

ডা. হাবিবুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পাঁচজনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৭৩ জনকে আইসোলেশন করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ২৯৫ জনকে ছেড়ে দেয়ায় বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭৮ জন।

এই কর্মকর্তা বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে কমপক্ষে দুজনের নমুনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতোমধ্যেই তার নির্দেশনা অনুসারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বিভিন্ন বিভাগীয় পরিচালককে নমুনা সংগ্রহের নির্দেশনা দিয়েছেন। আজ সারাদেশ থেকে এক হাজার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে বলে আমরা আশা করছি।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২০৩টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৯ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৭ হাজার ২৪৯ জন। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ লাখ ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে। সবশেষ হিসাবে করোনায় বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬ জন। মারা গেছেন ছয়জনই। এছাড়া সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৬ জন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এই ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ০২, ২০২০)


বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। ব্রিফিং করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখার পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের শরীরে করোনাভাইরাস আছে বলে শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে। তবে নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি।
ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।ঢাকায় ছয়টি এবং ঢাকার বাইরে চারটি প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যেই নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে নমুনা পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পিসিআর মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে। খুব শিগগির এগুলোতে কাজ শুরু হবে।
তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সন্দেহভাজন রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিকটস্থ ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর অনুরোধ জানান।
ডা. হাবিবুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পাঁচজনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৭৩ জনকে আইসোলেশন করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ২৯৫ জনকে ছেড়ে দেয়ায় বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭৮ জন।

এই কর্মকর্তা বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে কমপক্ষে দুজনের নমুনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতোমধ্যেই তার নির্দেশনা অনুসারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বিভিন্ন বিভাগীয় পরিচালককে নমুনা সংগ্রহের নির্দেশনা দিয়েছেন। আজ সারাদেশ থেকে এক হাজার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে বলে আমরা আশা করছি।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২০৩টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৯ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৭ হাজার ২৪৯ জন। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ লাখ ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে। সবশেষ হিসাবে করোনায় বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬ জন। মারা গেছেন ছয়জনই। এছাড়া সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৬ জন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এই ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test