E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আগামী মাসে শুরু হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ

২০১৪ আগস্ট ১০ ১৩:৪২:৫৯
আগামী মাসে শুরু হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ

নিউজ ডেস্ক : আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়ন হবে বহুল আলোচিত এই প্রকল্প। প্রায় তিন বছর ধরে নানা প্রক্রিয়ায় আটকে থাকার পর এর নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে।

এ জন্য ফান্ড ও জমি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন করপোরেশনের (সিআরসিসি) মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে প্রকল্প এলাকায় অফিস নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। নির্মাণ যন্ত্রপাতিও দেশে আনার কাজ চলছে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর তথ্য মতে, ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দর সড়ক থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। জুলাইয়ে কাজ শুরুর কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা আর হয়নি। নকশা ও চুক্তি সংশোধনের পর নির্মাণকাজ শুরুর জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। রেলওয়ের ১২৮ দশমিক ৩০ একর জমি এরই মধ্যে সেতু বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য এর পুরোটিই বিনামূল্যে দিচ্ছে রেলওয়ে। পাশাপাশি বেসরকারি জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ১২৮ কোটি টাকা জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য রেলওয়ের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে প্রায় ১২৮ একর জমি। তৈরি করা হয়েছে বিশেষ তহবিল ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডের (ভিজিএফ)। এতে সরকারের পক্ষ থেকে ২৭ শতাংশ অর্থায়ন করা হচ্ছে। বাকি ৭৩ শতাংশ সরবরাহের কথা রয়েছে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির। জানা গেছে, বাংলাদেশের জন্য নতুন ধারণা ‘পিপিপি’। এ ধরনের প্রকল্পের বিনিয়োগ ঝুঁকি হ্রাস করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘ভিজিএফ’ ফান্ড গঠন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও তেমনই করা হচ্ছে। সেতু বিভাগের তথ্যমতে, ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। আর ভিজিএফ হিসেবে ২ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা দেবে সরকার।

এছাড়া জমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিসেবা সংযোগ লাইন স্থানান্তরে ব্যয় হবে ২ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। এটিও বহন করবে সরকার। সব মিলিয়ে ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েটির নির্মাণ ব্যয় দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১৩ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী, নির্মাণ ব্যয়ে ২৭ শতাংশ অর্থ ভিজিএফ হিসেবে ছয় কিস্তিতে দেওয়া হবে। নির্মাণ শুরুর দ্বিতীয় বছর থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে নগদে এ অর্থ প্রদান করবে সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নের অন্তত ৫০ শতাংশ সামগ্রী বাংলাদেশের স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে ভিজিএফের অর্থ ব্যবহার করতে পারবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।

চুক্তি অনুসারে, এক্সপ্রেসওয়েতে টোল ধরা হয়েছে মোটর গাড়িতে ১২৫ টাকা, যাত্রীবাহী বাসে ২৫০, ছয় চাকার ট্রাকে ৫০০ এবং ছয় চাকার বেশি ট্রাকের জন্য টোল পড়বে ৬২৫ টাকা। ২৫ বছর পর্যন্ত টোল আদায় করবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। তিন বছর পর পর টোলের হার সমন্বয় করা হবে। এক্ষেত্রে এক্সপ্রেসওয়েতে দৈনিক ন্যূনতম ১৩ হাজার ৫০০ যানবাহন চলাচল করতে হবে। তা না হলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।

(ওএস/এটিআর/অাগস্ট ১০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test