E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

চাকরি হারালেন ডা. জুবাইদা

২০১৪ আগস্ট ১১ ১৪:৫৯:৫৪
চাকরি হারালেন ডা. জুবাইদা

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা খান চাকরি হারালেন। চাকরি বিধি-৩৪ ধারা অনুযায়ী ৫ বছরের বেশি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে তার চাকরির অব্যাহুতি দেওয়া হয়েছে।

তবে কর্মস্থলে অনুপস্থিতির জন্য চাকরি চলে গেলেও অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জুবাইদাকে নোটিস দিতে হবে। ব্যাখ্যার জবাব না দিলে বা জবাব সন্তোষজনক না হলে পত্রিকায় চাকরিচ্যুতির বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।

জবাব সন্তোষজনক হলে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ারও বিধান আছে। জুবাইদা ৫ বছর ১০ মাসেরও বেশি সময় অসুস্থ স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে আছেন।

চাকরি বিধি-৩৪ ধারায় বলা হয়েছে- ঘটনার বিশেষ অবস্থা বিবেচনাপূর্বক সরকার অন্যরূপ কোনও সিদ্ধান্ত না নিলে ছুটিসহ অথবা ছুটি ছাড়া একটানা পাঁচ বছর কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকার পর একজন সরকারি কর্মচারীর চাকরির অবসান হবে। পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার দিনেও কাজে যোগদান করলে চাকরি থাকবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, জুবাইদার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি মঞ্জুর ছিল জুবাইদার। এরপর স্বামীর চিকিৎসা শেষ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার ছুটি বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে কারণটি যৌক্তিক মনে না হওয়ায় ছুটি মঞ্জুর করা হয়নি।তিনি আবেদনপত্রে লিখেছিলেন, ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর বহিঃবাংলাদেশ ছুটি নিয়ে অসুস্থ স্বামী তারেক রহমানের সুচিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান।

চিকিৎসা শেষ না হওয়ায় তার পে অসুস্থ স্বামীকে একা বিদেশ রেখে দেশে ফেরা সম্ভব নয়। এর আগেও একবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশপত্রে কি ধরনের ছুটি বাড়াতে হবে তা উল্লেখ না থাকায় জটিলতা তৈরি হয়েছিল বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

সর্বশেষ তিনি এক বছরের ছুটির জন্য স্বাস্থ্য সচিব বরাবর আবেদন করেছিলেন ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি। ছুটি মঞ্জুর না করে দেশে ফিরে চাকরিতে যোগদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাকে। জুবাইদা দেশে ফিরে আসেননি। আবার যোগদানপত্র ডাকে পাঠানোরও নিয়ম নেই।

জানা গেছে, প্রতিটি আবেদনপত্রে তিনি নিজের নাম লিখেছেন ডা. জুবাইদা খান। যদিও কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে তার নাম জুবাইদা রহমান হিসেবে লেখা হয়ে থাকে।

(ওএস/এটিআর/আগস্ট ১১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test