E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দুদকের লোক পরিচয়ে প্রতারণার বিরুদ্ধে ইকবাল মাহমুদের হুঁশিয়ারি

২০২০ মে ১৯ ১৬:৪১:৫২
দুদকের লোক পরিচয়ে প্রতারণার বিরুদ্ধে ইকবাল মাহমুদের হুঁশিয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচয় দেয়া প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা দুদক চেয়ারম্যানকে এ জাতীয় প্রতারণার বিষয়ে অবহিত করলে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।

কর্মকর্তারা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম কিংবা তাদের আত্মীয়-স্বজন পরিচয় দিয়ে এক বা একাধিক প্রতারক চক্র সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন বেসরকারি ব্যক্তিদের মোবাইল বা টেলিফোনের মাধ্যমে ফোন করে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে অনৈতিক অর্থ দাবি করছে।

করোনার এই মহাদুর্যোগকালেও একাধিক প্রতারক চক্র সক্রিয় রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিক সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি তাদের (দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের) জানিয়েছেন, এসব প্রতারক তাদের (সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি) দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে টেলিফোন করেছেন এবং বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেতে হলে তাদের বিকাশের মাধ্যমে অর্থ দিতে হবে।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী কিংবা কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃক্ষ কিংবা তাদের আত্মীয়-স্বজন পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এ জাতীয় প্রতারক-প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। কমিশন থেকে বারবার আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কখনো কমিশনের নিজস্ব গোয়েন্দাদের মাধ্যমে প্রতারকদের গ্রেফতার করা হয়েছে, আবার কখনো পুলিশ বা র‌্যাবের সহায়তায় প্রতারকদের গ্রেফতার করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বেশ কিছু মামলা বিচারাধীন এবং তদন্তাধীন রয়েছে।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, সর্বসাধারণকে অনুধাবন করতে হবে, কমিশনের বিবেচনাধীন কোনো অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তের বিষয়ে দুদক কর্মকর্তাদের টেলিফোন করার কোনো সুযোগ নেই, যা প্রশাসনিক নির্দেশনার মাধ্যমে অনেক আগ থেকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া যেসব প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের আইনি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করেও দেখা গেছে, এসব ঘটনায় দুদকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্পৃক্ত নয়।

‘তাছাড়া দুদকের বিবেচনাধীন বা অনুসন্ধানাধীন বা তদন্তাধীন কোনো অভিযোগ হতে কমিশনের কোনো কর্মকর্তার একক অভিপ্রায় অনুসারে অব্যাহতি প্রদান কিংবা অভিযুক্ত করারও কোনো সুযোগ নেই। কমিশনের অনুসন্ধান বা তদন্ত এমন একটি প্রক্রিয়া, যাতে তদন্তকারী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কমিশনের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ সম্পৃক্ত। আইন অনুযায়ী দুদকের সকল সিদ্ধান্ত কমিশন কর্তৃক গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তাই এ জাতীয় প্রতারকদের টেলিফোনে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। এদের সাথে কোনো রূপ আর্থিক লেনদেনে কেউ জড়াবেন না’— বলেন দুদক চেয়ারম্যান।

তিনি আরও বলেন, এ জাতীয় প্রতারকদের অর্থ প্রদান দুর্নীতির শামিল। তাই এসব প্রতারকদের আইনের আমলে নিয়ে আসার জন্য নিকটস্থ থানা অথবা র‌্যাব কার্যালয় বা দুদকের স্থানীয় সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে অভিযোগ জানান। প্রয়োজনে দুদকের পরিচালক (গোয়েন্দা) মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী (মোবাইল নং ০১৭১১-৬৪৪৬৭৫) অথবা দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্যকে (মোবাইল নং ০১৭১৬-৪৬৩২৭৬) অভিযোগ জানাবেন। এসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কমিশন এসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

(ওএস/এসপি/মে ১৯, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test