E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বুধবার সকালে ‘মহাবিপদ’ সংকেত

২০২০ মে ১৯ ১৭:৩৬:২২
বুধবার সকালে ‘মহাবিপদ’ সংকেত

স্টাফ রিপোর্টার : ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় বুধবার (২০ মে) সকাল ৬টায় মহাবিপদ সংকেত জারি করা হবে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, আজ (মঙ্গলবার) রাতের মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা ২০ থেকে ২২ লাখ লোককে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে।

মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। এর আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেন প্রতিমন্ত্রী।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এতে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ১৪৪ জন লোক থাকতে পারবে। তবে আমরা যেহেতু কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে চিন্তিত, সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, সেজন্য সেখানে আমরা ২০ থেকে ২২ লাখ লোককে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সময় আমরা ১৮ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে এনেছিলাম এবং ‘বুলবুল’- এর সময় ২২ লাখ লোককে আমরা আনতে পেরেছিলাম।

ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৮১০ কিলোমিটার, কক্সবাজার বন্দর থেকে ৭৬৫ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এটির বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৪৫ কিলোমিটার, যার কারণে এটাকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো, উপকূলবাসী যারা ঝুঁকিপূর্ণ ঘরবাড়িতে বসবাস করছেন তাদের সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসা। গতকাল থেকে এই কাজটি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক লোককে আমরা সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসছি।

তিনি আরও বলেন, আজকে রাতের মধ্যে সাইক্লোন শেল্টারে আনা সমাপ্ত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। আগামীকাল সকাল ৬টার সময় মহাবিপদ সংকেত দেখানো হবে। মহাবিপদ সংকেত দেখানোর পর আর লোকজনকে বাড়িঘর থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার সুযোগ থাকবে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে। বাংলাদেশের ভূখণ্ডের উপর দিয়ে এটা অতিক্রম করবে।

আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য মন্ত্রণালয় তাদের কর্মকাণ্ডগুলো রিভিউ করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা মেডিকেল টিম করে প্রয়োজনীয় জরুরি ওষুধ সরবরাহ করেছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ জানিয়েছে, তারা নৌবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে যে দুর্গম চর ও দ্বীপ থেকে মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্য। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাদের কর্মকর্তাদের মাঠে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এখন শুধু কন্ট্রোল রুমে বসে আছি। কোন জেলায় আশ্রয় কেন্দ্রে কতজনকে সরিয়ে আনা হয়েছে, সেটার আমরা হিসাব করছি। সেই বিষয়ে আপনাদের ঘণ্টায় ঘণ্টায় ব্রিফিং করব। আমরা আশা করি রাত ৮টার মধ্যে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারব। আগামীকাল সকাল ৬টার মধ্যে মহাবিপদ সংকেত দিয়ে ঝড়ের জন্য অপেক্ষা করব।

ঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য সব মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলেও জানান এনামুর রহমান।

(ওএস/এসপি/মে ১৯, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test