E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে আঘাত, তুলনামূলক কম ক্ষতির সম্ভাবনা

২০২০ মে ২০ ২২:১৬:১৯
পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে আঘাত, তুলনামূলক কম ক্ষতির সম্ভাবনা

নিউজ ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তের সুন্দরবন অংশে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। তবে আঘাতটা প্রথমে করেছে পশ্চিমবঙ্গ অংশে। সে কারণে পশ্চিমবঙ্গে বাতাসের গতিবেগ অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় পরে আঘাত করায় বাতাসের গতিবেগও কম। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় বাংলাদেশ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন স্টেশন থেকে রিপোর্ট আসতেছে। সবগুলোর রিপোর্ট আসতে সময় লাগবে। এখন পর্যন্ত যেসব রিপোর্ট এসেছে, তার মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার রেকর্ড হয়েছে সাতক্ষীরায়। তারপর ৮৩ কিলোমিটার রেকর্ড হয়েছে খুলনায়, মোংলায় ৮৩ কিলোমিটার ও ৭৪ কিলোমিটার রেকর্ড হয়েছে ক্ষেপুপাড়ায়। এখনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাতাস হচ্ছে। আরও দুই-তিন ঘণ্টা হবে। তারপর কমে যাবে। তবে এখন পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ যা রেকর্ড হয়েছে, এর থেকে আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে আগে আঘাত করেছে ঘূর্ণিঝড়টি। তাই ওদের ওখানে বেশি বাতাস হয়েছে। তাদের তুলনায় আমাদের এখানে বাতাস কম হয়েছে। তাই পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও কম।’

বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকা (সুন্দরবন এলাকা) অতিক্রম করছে। আগামী ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন সাগর এলাকা উত্তাল রয়েছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয় পক্ষের চাঁদের সময়ের শেষ দিনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

(ওএস/এসপি/মে ২০, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test