E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

এডিস মশার প্রজননস্থল : বাসা-স্থাপনার মালিকের সব তথ্য যাবে অ্যাপে

২০২০ জুন ০৫ ১৮:৩৭:৪৫
এডিস মশার প্রজননস্থল : বাসা-স্থাপনার মালিকের সব তথ্য যাবে অ্যাপে

স্টাফ রিপোর্টার : এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে শনিবার (৬ জুন) থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব ওয়ার্ডে (৫৪টি) একযোগে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) শুরু হবে।

ডিএনসিসি সূত্র জানায়, অভিযান চলাকালে যেসব বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা কিংবা এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাবে, সেই মালিকের ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি অ্যাপে সংরক্ষণ করা হবে। ফলে চিরুনি অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোন কোন এলাকায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডাটাবেস তৈরি হবে। ডাটাবেস অনুযায়ী পরবর্তীতেও তাদের মনিটরিং করা সহজ হবে। অ্যাপটি তৈরি করেছেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম।

শুক্রবার (৫ জুন) এসব তথ্য জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন।

ডিএনসিসি সূত্র জানায়, ১০ দিনব্যাপী এ অভিযান শুক্রবার বাদে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরিচালিত হবে। চিরুনি অভিযান পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাব-সেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের একটি সেক্টরে অর্থাৎ ১০টি সাব-সেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। এভাবে আগামী ১০ দিনে সমগ্র ডিএনসিসিতে চিরুনি অভিযান সম্পন্ন করা হবে।

প্রতিটি সাব-সেক্টরে ডিএনসিসির চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও একজন মশক নিধনকর্মী, অর্থাৎ প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৪০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও ১০ জন মশককর্মী ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা আছে কি-না, কিংবা কোথাও তিন দিনের বেশি পানি জমে আছে কি-না, কিংবা ময়লা-আবর্জনা আছে কি-না, যা এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়ক, তা পরীক্ষা করবেন। চিরুনি অভিযান চলাকালে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে নয়জন কীটতত্ত্ববিদ, ডিএনসিসির তিনজন কীটতত্ত্ববিদ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর ডিএনসিসির চিরুনি অভিযানসহ এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করবে।

গত ১৬ মে থেকে শুরু করে ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত পাঁচটি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে ডিএনসিসি। ওয়ার্ডগুলো হলো- ১, ৬, ১২, ১৮ ও ৩২। ওইসময় ৯ হাজার ৪৬৩টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৮৭টিতে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া যায়।

চিরুনি অভিযানের সঙ্গে সঙ্গে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টও পরিচালিত হবে।

এর আগে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসিতে ১০ মে থেকে মোবাইল কোর্ট শুরু হয়। বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট চার লাখ ২৬ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

চিরুনি অভিযান সর্বাত্মকভাবে সফল করতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এবং ডিএনসিসির সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।

(ওএস/এসপি/জুন ০৫, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test