E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

র‍্যাবে যাচ্ছে সাহেদের মামলা, সাবরিনার বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট

২০২০ জুলাই ২২ ১৬:৫৮:২৯
র‍্যাবে যাচ্ছে সাহেদের মামলা, সাবরিনার বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট

স্টাফ রিপোর্টার : করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ও আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতি করা রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্তভার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছ থেকে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রেক্ষিতে মামলাটি বুধবার (২২ জুলাই) হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন। তবে সাহেদকে নিয়ে অভিযানে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করবে ডিবি।

বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আব্দুল বাতেন।

তিনি বলেন, ‘সাহেদকে গ্রেফতার থেকে শুরু করে র‌্যাব কাজ করেছে। মামলা ডিবি তদন্ত করছিল। পাঁচদিন আমাদের কাছে রিমান্ডে ছিল, অনেক তথ্য আমরা পেয়েছি। আজকের মধ্যে হয় তো র‌্যাবে আসামি হস্তান্তর করা হবে।’

প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার সাহেদের মামলা তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে র‌্যাব। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে র‌্যাবকে তদন্তের অনুমোদন দেয়া হয়।

সাহেদকে গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে অভিযানে উদ্ধার অস্ত্র কোনো কাজে ব্যবহৃত হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে আব্দুল বাতেন বলেন, ‘অস্ত্রটি কোথাও ব্যবহারের তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা তদন্ত করছি। মাঝেমাঝে অপরাধীরা বৈধ অস্ত্রের পাশাপাশি অপরাধ আড়াল করতে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে।’

কী পরিমাণ করোনার নমুনা পরীক্ষায় সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা করেছে- জানতে চাইলে আব্দুল বাতেন বলেন, ‘আমরা তদন্তে জানতে পেরেছি, রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে মোটামুটি ৫ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার করোনার রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছিল। সাড়ে পাঁচ হাজার রিপোর্টই যে গরমিল ছিল সেটা বলা যাবে না। যে সার্টিফিকেটের মধ্যে একজন ব্যক্তি করোনা পজিটিভ না হয়েও পজিটিভ দেয়া হয়েছে কিংবা পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে কিন্তু অনুমান করে বলা হয়েছে পজিটিভ, সেসব প্রতারণা প্রমাণের জন্য তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে।’

অন্যদিকে জোবেদা খাতুন সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা তথা জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার মামলা সম্পর্কে আব্দুল বাতেন বলেন, ‘চেয়ারম্যান নয়, আহ্বায়ক হিসেবে ডা. সাবরিনা চৌধুরীর সম্পৃক্ততা পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আশা করছি এ মামলায় আমরা দ্রুতই চার্জশিট দিতে পারব।’

গ্রেফতারের আগে বিভিন্ন মিডিয়ায় ডা. সাবরিনা নিজেকে জেকেজির চেয়ারম্যান পরিচয় দিলেও ডিবির তদন্তে তা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন আব্দুল বাতেন।

তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান হিসেবে কোনো ডকুমেন্ট আমরা পাইনি। তবে আহ্বায়ক হিসেবে সম্পৃক্ত থাকার কাগজ পাওয়া গেছে।’

উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর বেইলি ব্রিজের পাশে নর্দমার মধ্যে থেকে বোরকা পরা অবস্থায় সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তার কাছ থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপর থেকে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরবর্তীতে ডিবির আবেদনের প্রেক্ষিতে তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

অন্যদিকে জালিয়াতির অভিযোগ থাকায় ১২ জুলাই ডা. সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকে তেজগাঁও থানা পুলিশ। তবে কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় তাকেও গ্রেফতার দেখানো হয়। পরবর্তীতে ১৩ জুলাই সাবরিনার তিনদিনের ও ১৭ জুলাই ফের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২২, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test