E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘সিঙ্গাপুরে চলে আসা ছাড়া উপায় ছিল না’

২০২০ সেপ্টেম্বর ২১ ১১:৪৫:৪৪
‘সিঙ্গাপুরে চলে আসা ছাড়া উপায় ছিল না’

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে ওয়ার্ক পারমিট না থাকায় সিঙ্গাপুরে চলে যেতে হয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীববিজ্ঞানী এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন কিট আবিষ্কারক দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীলকে। এ বিষয়ে বলেছেন, চলে আসা ছাড়া উপায় ছিল না। এই মুহূর্তে যে কথাবার্তা হচ্ছে, আমি যদি চুপচাপ বসে থাকি, মানুষ হয়তো ভাববে লোভে পড়ে আছি। আমি আমার নিজের সম্মান এবং তাদেরকে সম্মান দেখিয়ে চলে এলাম। এখন তারা যদি মনে করেন, আমাকে দরকার। ডাক দিলেই আমি যাব। গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন ড. বিজন কুমার শীল।

তিনি বলেন, ‘আমার ওয়ার্ক পারমিট এখনো হয়নি। ফলে আমাকে ফিরে আসতেই হবে। তাছাড়া প্রায় সাত মাস পরিবার থেকে দূরে আছি। দীর্ঘসময় কাজের মাঝে ছিলাম তো, অতটা বুঝতে পারি নাই। যখন কাজ থেকে বিরত হলাম, তখন দেখলাম যে, অনেক সময় চলে গেছে। দেখলাম, কাজে যেহেতু একটা ব্রেক চলেই এসেছে, এই সুযোগে চলে আসলাম আর কি। ওটার (ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার) প্রক্রিয়াও চলছে। দেখা যাক কী হয়।’

সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ড. বিজন কুমার শীল। তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদেরকে আপাতত কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আমরা একটা হোটেলে আছি। এখানে ১৪ দিন থাকব। বাড়িতে যেতে দেয়নি। যদিও আমি বাংলাদেশ থেকে করোনা টেস্ট করে এসেছি। কিন্তু তারা এই টেস্টের খুব একটা ভ্যালু দিচ্ছে না। তারা বলছে যে, আমরা দেখব তারপরে।’

বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন প্রখ্যাত এ অণুজীববিজ্ঞানী। তিনি বলেন, ‘আসার সময় আমার বেশকিছু অভিজ্ঞতা হলো। মানুষজন আমাকে এত চেনে, এত ভালোবাসে বুঝতে পারি নাই। আমি যখন বিমানবন্দরে এলাম, তখন প্রায় সবাই আমাকে চিনতে পেরেছে। আমি রাত প্রায় দুইটার দিকে বিমানবন্দরে যাই। ওরা বলেছিল, পাঁচ ঘণ্টা আগে আসার জন্য। ইমিগেশনে ওরা আমাকে দেখেই চিনছে। যে লোক আমার দিকে তাকায়, সেই আমাকে চেনেন। তারা বলেন, আপনি বিজন স্যার না? আমি বললাম যে, হ্যাঁ।’

‘আমি এক দোকানে গেছি, ওই দোকানদারও আমাকে চিনলেন! হঠাৎ দেখি, ইমিগ্রেশনের অফিসার আমার কাছে এলেন। বলল যে, আপনার পাসপোর্টটা একটু দেখব। আমি বললাম যে, দেখেন। তারা ছবিঠবি তুলে নিল। এয়ারলাইন্সে এসে দেখি, এয়ারলাইন্সে যারা আছেন, তারাও এসে হাজির। তারা নানা কিছু জিজ্ঞাসা করলেন। তাতে আমি বুঝতে পারলাম, আমি বোধহয় মানুষের হৃদয়ের কাছে গেছি।’

‘মানুষ যে আমাকে কতটুকু ভালোবাসছে, আমার ওপর তাদের যে কতটুকু বিশ্বাস আছে-এই জিনিসটা আসার সময় আমি খুব ভালো করে উপলব্ধি করেছি’, বলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন কিট আবিষ্কারক দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test