E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পদ্মা সেতুর রেল সংযোগের কাজে অসন্তুষ্ট সংসদীয় কমিটি

২০২০ ডিসেম্বর ০২ ১৭:০২:১৭
পদ্মা সেতুর রেল সংযোগের কাজে অসন্তুষ্ট সংসদীয় কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার : পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেললাইন তৈরির পরিকল্পনায় আন্ডারপাসগুলোতে ‘হাই কিউব কন্টেইনার’ পরিবহনের সুবিধা কেন রাখা হয়নি- সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। এছাড়া রেলের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প প্রাক্কলন ও বাস্তবায়নে সময় এবং ব্যয়ের হিসাবের তারতম্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিটি।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়।

কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, এ বি তাজুল ইসলাম, ফজলে হোসেন বাদশা, আহসান আদেলুর রহমান, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এবং খাদিজাতুল আনোয়ার।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ওপর নিয়ে ঢাকা থেকে মোংলা যাওয়ার পথে জুরাইন রেলওয়ে ওভারপাসের উচ্চতা কম হয়েছে। ওই ওভার পাসের যে উচ্চতা তাতে হাই-কিউব কন্টেইনারগুলো পরিবহন করা যাবে না। এতে পরিবহন ব্যয় বাড়বে। সমন্বয়হীনতার কারণে এ রকম হয়েছে বলে মনে হয়। এজন্য আমরা ওই বিষয়টি দেখতে বলেছি। আর ভবিষ্যতে যেসব ওভারপাস ও আন্ডারপাস নির্মাণ হবে তার উচ্চতা বা গভীরতা ঠিক রাখতে বলেছি।’

বৈঠকে রেল মন্ত্রণালয়ের ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের চলমান প্রকল্পের ওপর আলোচনা এবং রেল মন্ত্রণালয়কে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির আগের বৈঠকের সুপারিশের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতির ওপর আলোচনা হয়। এসব বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে রেল মন্ত্রণালয়।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্রাক নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয় ২০১০ সালের জুলাই মাসে। ২০১৬ সালের জুনে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বাড়িয়ে তা ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ধরা হয়েছে। প্রথমে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৮৫২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। পরে এটি সংশোধন করে বাড়ানো হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ টাকা।

আরও জানা গেছে, খুলনা হতে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৭২১ কোটি ৩৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এই প্রকল্প অনুমোদন হয় ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। যা শেষ হওয়ার কথা ২০১৮ সালের ৩০ জুন। পরে এই প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ধরা হয়। আর সময় ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ রকম আরও বেশকিছু প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করে সংসদীয় কমিটি ।

এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদ বলেন, ‘প্রকল্পের যে প্রাক্কলন করা হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়নের সময় ঠিক থাকে না। প্রাক্কলনে যে ব্যয় ধরা হয় দরপত্রে সেটার চেয়ে কম বা বেশি দেখা যায়। এটা হওয়া উচিত নয়। তাছাড়া প্রকল্প শুরু হয় মেয়াদ শুরুর অনেক পরে। দেখা যায় ২০১০ সালের প্রকল্প শুরুই হয়েছে ২০১৮ সালে। এর ফলে প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে যায়। জনস্বার্থ বিঘ্নিত হয়। এ জন্য আমরা বলেছি, প্রাক্কলনের চেয়ে বেশি খরচ করা যাবে না। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো যাবে না।’

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test