E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সোহরাওয়ার্দীর দূরদর্শিতায় ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের অবিস্মরণীয় বিজয়

২০২০ ডিসেম্বর ০৫ ১৪:৩০:১৩
সোহরাওয়ার্দীর দূরদর্শিতায় ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের অবিস্মরণীয় বিজয়

স্টাফ রিপোর্টার : ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, সেটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ফলেই ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের অবিস্মরণীয় বিজয় সম্ভব হয়েছিল বলে জানিয়েছেন নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান খন্দকার মাসুদ-উজ-জামান।

আজ ৫ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার সকাল ৯.৩০ টায় উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় তিন নেতার মাজারে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনকালে তিনি এ কথা বলেন। এসময় সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

খন্দকার মাসুদ-উজ-জামান বলেন, “হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, তাই সুধী সমাজে তিনি ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত হন। শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে এ দেশের শান্তিপ্রিয় গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন। কেবল একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কও। তার প্রচেষ্টায় ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়।”

তিনি বলেন, “হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন। তিনি ছিলেন একজন উদার ও প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।”

তিনি পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

(পিআর/এসপি/ডিসেম্বর ০৫, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test