E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দারিদ্র্য হার ৪২ শতাংশ সঠিক নয় : পরিকল্পনামন্ত্রী 

২০২১ জানুয়ারি ২৪ ১৮:০৪:২৭
দারিদ্র্য হার ৪২ শতাংশ সঠিক নয় : পরিকল্পনামন্ত্রী 

স্টাফ রিপোর্টার : দারিদ্র্য হার ৪২ শতাংশ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, এটা এপ্রিলের তথ্য।

তখন সেটা ৪১ শতাংশ বাড়ে। কিন্তু সেপ্টেম্বরের পর সেটা নেমে আসে। বর্তমানে দারিদ্র্য হার ২২/২৩ শতাংশ বলে আমার ধারণা। নতুন দারিদ্র্য হার জরিপের আরও খোঁজ নেওয়া দরকার।

রবিবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর এফডিসি মিলনায়তনে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট ‘শিল্প খাতে করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগ’ বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এম এ মান্নান বলেন, নতুন দারিদ্র্য হার নিয়ে সঠিক সময় উল্লেখ করেনি। যে সংস্থা এ জরিপ করেছে, তারা জরিপের সময় উল্লেখ করেনি। তারা এপ্রিলের তথ্য দিয়েছে।

করোনাকালে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মোবাইলে দেওয়া অর্থ বিতরণে কিছু অনিয়ম হয়েছে স্বীকার করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মোবাইলে প্রণোদনায় কিছু অনিয়ম হয়েছে সেটা স্বীকার করছি। যখন আমরা বুঝতে পারছি জনপ্রতিনিধিরা নিজের পরিবার পরিজনসহ পরিচিতদের নম্বর দেন, তখন সেটা বোঝার পর আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তিতে অনেক আপডেট। তারপরও সেখানে অনেক অনিয়ম হয়, মৃত ব্যক্তিও প্রণোদনার টাকা পেয়েছে। সিএনএনের প্রতিবেদনে এটা দেখেছি।

ভূমিহীনদের বাড়ি নির্মাণে অনিয়মের এক প্রশ্নের জবাবে এম এ মান্নান বলেন, নয় লাখ ভুমিহীন মানুষকে বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা বিরাট অর্জন দেশের। পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই। তারপরও কিছু ভুলভ্রান্তি হয়েছে। সেটা ভবিষ্যতে শোধরে নেওয়া হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, করোনায় অর্থনৈতিক যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে সেটা পূরণ হবার নয়। যে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে সেটা কোনো ক্ষতিপূরণ নয়, এটা হাত বাড়িয়ে দেওয়া। প্রণোদনার মানে কাছে থাকা, হাত বাড়িয়ে দেওয়া। সব অর্থনীতি একই মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, সেক্টর ভেদে কম-বেশি হয়েছে।

এম এ মান্নান বলেন, প্রণোদনার ব্যবহার যথাযথ হয়নি স্বীকার করি। আমাদের টাকা অনেকের কাছে পৌঁছায়নি। যারা টাকা নেবেন এমন অনেক উদ্যোক্তা সেটা জানেনই না। ফলে প্রণোদনার অর্থ পৌঁছায়নি। ওইসব মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তার অর্থ বাড়িয়েছি।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে অংশগ্রহণ করে ঢাকা কমার্স কলেজ ও বিরোধীদল হিসেবে অংশগ্রহণ করে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় বিরোধীদল ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test