E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ঐতিহাসিক দলিল’

২০২১ মার্চ ০৭ ১৬:২৭:৫৬
‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ঐতিহাসিক দলিল’

স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসাবে আখ্যায়িত করে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উযদাপন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক, ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মঞ্জুরুল হক সিকদার বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের যেমন রয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব, তেমনই রয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। মুক্তিপ্রেমী লাখো জনতার সামনে ১৮ মিনিট ধরে দেওয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। সেই সাথে তিনি দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন।

রবিবার (৭ মার্চ) তোপখানার বাংলাদেশ শিশুকল্যান পরিষদ কনফারেন্স লাউঞ্জে স্বাধীনতার স‚বর্ণ জয়ন্তী উদযাপন নাগরিক কমিটির উদ্যোগে “ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু ভাষন : স্বাধীন বাংলাদেশ”- শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভাষণের যে অংশটা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে তাহলো ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। আব্রাহাম লিংকনের গ্যাটিসবার্গ অ্যাড্রেস, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চার্চিলের বক্তৃতা। বঙ্গবন্ধুর ভাষণটাও সেই পর্যায়ের। যে বক্তৃতাগুলো ইতিহাস সৃষ্টি করে, বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি সে রকমই ইতিহাস সৃষ্টিকারী ভাষণ।

নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বক্তব্য রাখেন নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কবৃন্দ জাসদ উপদেষ্টা এনামুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ মহাসচিব মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খান, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তম্ময়, বিশিষ্ট রাজনীতিক মো, আরুক মুন্সী, গণরাজনৈতিক জোট-গর্জোর সভাপ্রধান সৈয়দ মঈনুজ্জামান লিটু, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, শেরে বাংলা স্মৃতি পরিষদের মহাসচিব আর কে রিপন, নারী নেত্রী কাজী শাহনাজ মিনু, মানবাধিকার কর্মী পারভেজ হোসেন বাবু, আইনি আক্তার দিবা, চিত্রা রানী দেবী প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের একাংশ অর্থাৎ স্বাধীনতা পেলেও, আমাদের জাতীয় মুক্তির সংগ্রাম এখনও অব্যাহত রয়েছে। যে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, আজ সে বৈষম্যের কশাঘাতে মানুষ দিশেহারা। দেশ আজ গভীর সংকটে নিমজ্জিত।

তিনি বলেন, সরকার প্রতিনিয়ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছে। কিন্তু চেতনা বাস্তবায়নে সরকার অনেক দূরে সরে গেছে। স্বাধীনতার স‚বর্ণ জয়ন্তী নিয়েও সরকার জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

জাসদ উপদেষ্টা এনামুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ১৯৭১’র ৭ মার্চ লাখো লাখো জনতার সামনে দাঁড়িয়ে সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুখ থেকে উচ্চারিত কিছু শব্দাবলী বিচ্ছুরিত হয়ে একটি দেশের জন্ম হয়েছিল; যে দেশটির নাম বাংলাদেশ। যে দেশটি এখন পৃথিবীর বুকে সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তম্ময় বলেন, বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত ও আলোচিত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। এই ৭ই মার্চের ভাষনই স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র। সেদিন বঙ্গবন্ধুর ভাষনে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। আমাদের ব্যর্থতা ৭ই মার্চের ভাষনের মর্মবানী ও চেতনা আমরা তৃনমূলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারি নাই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারীদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।

গর্জো সভাপ্রধান সৈয়দ মঈনুজ্জামান লিটু বলেন, এত এত রক্ত, এত এত মানুষের আত্মবলিদানে অর্জিত যে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা আজ বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে সমগ্র পৃথিবী জুড়ে আমরা উড়তে দেখি; সেই পতাকার মর্ম ধ্বনিতে আজও বেজে ওঠে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ।

এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, ১৯৭১'র ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণেই প্রমানিত হয়েছিল স্বাধীনতা ছাড়া বাঙালি জাতির মুক্তি অর্জন সম্ভব নয়। বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যময় একটি দিন হলো ৭ মার্চ। বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রকৃতির মতোই ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাথে বহমান।

(এম/এসপি/মার্চ ০৭, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test