E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভূমিদস্যুর হাত থেকে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

২০২১ মার্চ ০৮ ১৮:৪৩:২৭
ভূমিদস্যুর হাত থেকে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

স্টাফ রিপোর্টার : ভূমিদস্যু নবী হোসেন ও রুমি কাউসার গং জাল-জালিয়াতি চক্রের ভূমি দখল ও প্রতারণার ফাঁদ হইতে রক্ষা পাওয়া এবং নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে আজ ৮ মার্চ ২০২১ সোমবার সেগুন বাগিচাস্থ ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোঃ হাবিবুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, “আমি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার কাচিসাইর গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান, পিতা: মৃত: আ: রহিম, বর্তমান ঠিকানা ১০৫ ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা। বিগত ১৫ অক্টোবর ২০১২ তারিখে ৮৮৬৬ নং দলিল মূলে ক্রয় সূত্রে মালিক হইয়া ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় সিটি জরিপ মোতাবেক নামজারী জমাভাগসহ ১৪২১ বাংলা সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ বছরের খাজনা পরিশোধ করিয়া ভোগদখল থাকাবস্থায় বাবু স্বপন কুমার হাওলাদার ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭৩ সালের ৩১৪০৮ দলিল (ভূয়া দলিল) দ্বারা বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালত ঢাকার দেওয়ানী ১৩৭/১৬ মামলা দায়ের করে ৬ জুন ২০১৭ তারিখে গোপনে একতরফা ভাবে রায়ডিক্রী নেয়। উক্ত মামলার বাবু স্বপন কুমার হাওলাদার এর আমমোক্তার দেখানো হয় প্রথমে মো: নাজমুল হোসেন ও পরবর্তীতে মো: নবী হোসেন কে যা কোনভাবেই আইন সম্মত নয়।”

তিনি আরো বলেন, “পরবর্তীতে উক্ত ১৩৭/১৬ মামলার রায় ডিক্রির বিষয়ে আমি মো: হাবিবুর রহমান ও আমার শশুর আলহাজ্ব আবুল বাশার সরকার অবগত হইয়া বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ঢাকার দেওয়ানী ২৬০/২০১৮ মামলাটি দায়ের করি উক্ত মামলা চলা অবস্থায় আমি মোঃ হাবিবুর রহমান জানিতে পারি যে, বাবু স্বপন কুমার হাওলাদার এর কথিত দলিল নং ৩১৪০৮ দলিলটি জাল ও ভূয়া সৃজিত বানোয়াট বটে। যাহা সাব-রেজিস্ট্রার জাহিদ হোসেন কর্তৃক ৮ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. স্মারক ৬৭৬২ নং এ একটি প্রতিবেদন দেয়া হয়, ৩১৪০৮ নং দলিলটি ভূয়া যাহার দাতা গ্রহিতা ভিন্ন। উক্ত দেওয়ানী ২৬০/২০১৮ মামলাটি বর্তমানে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালত ঢাকা দেওয়ানী ১৭৮/২০১৮ মামলায় রূপান্তর হয়ে চলমান আছে। উক্ত দেওয়ানী ১৭৮/২০১৮ মামলায় বিবাদী বাবু স্বপন কুমার হাওলাদার ও মো: নবী হোসেন গং বটে। উক্ত মামলাটিতে বিজ্ঞ আদালতে বিগত ১৯ মার্চ ২০২০ তারিখে বিবাদী পক্ষকে নালিশী সম্পত্তি হইতে বাদী পক্ষকে বেদখল করা হইতে বিবাদী পক্ষকে অন্তরবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দ্বারা বারিত করা হলো মর্মে আদেশ দেয়।”

মো: হাবিবুর রহমান আরো বলেন, “উক্ত বিষয়ে আমি বিগত ২১ জানুয়ারী ২০২১ তারিখে আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশ ঢাকাকে অবহিত করিয়াছি। পুলিশ কমিশনার ডিএমপি ঢাকাকে ২০ জানুয়ারী ২০২১ তারিখে অবহিত করিয়াছি। মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়কে দরখাস্ত দিয়ে জানিয়েছি। উক্ত তফসিল ভূক্ত জমিতে প্ল্যান পাশ না দেওয়ার জন্য রাজউক এর চেয়ারম্যান মহোদয়কে ১৪ অক্টোবর ২০২০ তারিখে অবহিত করা হয়েছে। কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বিবাদী পক্ষ পাত্তাই দিচ্ছে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করিয়া নালিশী তফসিলভূক্ত সম্পত্তিতে কোর্টের স্থিতাবস্থা ও নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সম্পত্তিতে সম্পূর্ণ বে-আইনীভাবে নবী হোসেন ও রুমি কাউসার গংরা তাদের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বক কাজ করে যাচ্ছে। পরবর্তীতে আমি মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশনটি ১৮৪৩/২০২১ দায়ের এর পূর্বে সকল পক্ষকে নোটিশ করিয়া মামলা দায়ের করিয়াছি মামলাটি মহামান্য সুপ্রীমকোর্ট এর হাইকোর্ট বিভাগ শুনানীর জন্য গ্রহণ করেছেন।”

তিনি অভিযোগ করেন, “নবী হোসেন ও রুমী কাউসার গংরা যে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়েই ক্ষান্ত হয়নি তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে এবং আমার উক্ত ভোগ দখলীয় সম্পত্তি দেখতে গেলে তারা কয়েকবার তাদের পালিত সন্ত্রাসীরা আমাকে মারধর করে ও মেরে ফেলার চেষ্টা করে এবং বলে এই জমিতে আমি আসলে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠাবে অথবা মেরে ফেলে লাশ গুম করে ফেলবে। এ ব্যাপারে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”

(পিআর/এসপি/মার্চ ০৮, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test