E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কুরবানির গোশত নিয়ে তসলিমার স্মৃতিচারণ

২০১৪ অক্টোবর ০৭ ১৩:০৮:২৪
কুরবানির গোশত নিয়ে তসলিমার স্মৃতিচারণ

ডেস্ক রিপোর্ট : বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন কুরবানির গোশত নিয়ে তার স্মৃতিচারণ করেছেন। মঙ্গলবার সকালে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, কেউ দিল্লি গেলে তার জন্য যেন পাতলা চালের রুটি আর গরুর শুটকি নিয়ে যায়।  খেতে খেতে ভেবে নেবেন তার মা এসব রেঁধে পাঠিয়েছেন।  

তসলিমার ফেসবুক স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলো :

“ভারত থেকে গরু না গেলে বাংলাদেশের লোকেরা কী কোরবানি দিত সেটাই ভাবি। কোরবানির ঈদের নিশ্চই বারোটা বাজত। ভারতের গরু চলে যায় ভারতের বাইরে। আর ভারতে বসে গরুর মাংস জোটে না আমাদের।”

তিনি বলেন, “দিল্লিতে গরু জবাই নিষিদ্ধ। গরুর মাংসের নামে যা পাওয়া যায়, তা মোষের মাংস। মোষের দুধ, মোষের মাংস কোনোটাই আমার ভালো লাগে না। ইউরোপ আমেরিকায় গেলে প্রচুর গরু খাই। দীর্ঘদিন গরু না খেতে পাওয়ার হা পিত্যেসগুলো যেন ঝরে যায়।”

তসলিমা বলেন, “আজ খুব গরুর শুটকি খেতে ইচ্ছে করছে। মা চমৎকার রাঁধতো শুটকি। ঈদের কিছু মাংস দড়িতে গেঁথে রোদে দিত। অনেকদিন রোদ পেয়ে মাংসগুলো শুকিয়ে শক্ত হয়ে থাকত। পরে কোনো একদিন ওগুলোকে শিলপাটায় নরম করে পেয়াঁজ, রসুন, আদা, হলুদ, ধনে, জিরে, লঙ্কা, লবণ মিশিয়ে ভাজত। সেই গরুর শুটকির ঝুরি আর পাতলা চালের রুটি মা আমাদের খেতে দিত সকালে। এর চেয়ে ভালো সকালের নাস্তা, আমি সত্যি বলছি, কোনোদিন খাইনি।”

তসলিমা নাসরিন বলেন, “কেউ যদি দেশ থেকে দিল্লি আসো আমাকে দেখতে, পাতলা চালের রুটি আর গরুর শুটকি নিয়ে এসো। খেতে খেতে ভেবে নেবো মা রেঁধে পাঠিয়েছে।”

(ওএস/এইচআর/অক্টোবর ০৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test