E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাংলাদেশ শান্তিতে আছে : তথ্যমন্ত্রী

২০২২ আগস্ট ১৯ ১৫:২৩:৫২
বাংলাদেশ শান্তিতে আছে : তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে এই দেশ রচিত হয়েছে। বাংলাদেশ শান্তিতে আছে। শান্তির দেশে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে কেউ যেন শান্তি বিনষ্ট করতে না পারে, সেজন্য সবসময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা জেএম সেন হল থেকে মহাশোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশ রচিত হয়েছিল একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্য। কিন্তু বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দল ও পক্ষ আছে যারা সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করে। তারা নির্বাচন আসলে সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেয়, আওয়ামী লীগকে গালাগাল করে বলে আমরা হিন্দুদের দল। আমরা সব মানুষের দল, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সব মানুষের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, তারা সময়ে সময়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা চালায়। এই সাম্প্রদায়িক উসকানি যখনই যারা দিয়েছে আমাদের সরকার সবসময় কঠোর হস্তে দমন করেছে। আর নির্বাচনের সময় যারা সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেয়, সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করার অপচেষ্ঠা চালায়, মধুর মধুর কথা বলে, তাদেরকে আপনারা চেনেন। সুতরাং সময় আসলে তাদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাই।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটানো হয়েছিল, আমি সেদিন অনেকটা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। পরেরদিন আমি নিজে ছুটে গিয়েছি রংপুরে। কারণ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমি রংপুর এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত। এভাবে দেশে বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তের বিনিময়ে এই দেশ রচিত হয়েছে। এই দেশ আপনাদের, আপনারা কেউ হীনমন্যতায় ভুগবেন না। এই দেশের মাটিতে আপনারা জন্মগ্রহণ করেছেন, কেউ আঘাত হানলে প্রতিরোধ করবেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি, আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে থাকবে। সরকার আপনাদের পাশে আছে।

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, শোভাযাত্রা সহকারে জন্মাষ্টমী উদযাপন চট্টগ্রামে যেভাবে হয় বাংলাদেশের আর কোথাও এভাবে হয় না। ছোটবেলা থেকে এই উৎসবে আমিও শামিল হয়েছি। চট্টগ্রাম ছাড়াও এই উৎসব অনেক জায়গায় হয়, কিন্তু এরকম জৌলুসপূর্ণ উৎসব কোথাও হয় না। সুতরাং চট্টগ্রামের এই অনুষ্ঠান অবশ্যই জাতীয় অনুষ্ঠান। জাতীয় অনুষ্ঠান বলেই গতকাল প্রধানমন্ত্রী এখানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যখন দুর্গাপূজা হয়, এই শহরে তখন কেউ বিমানে কিংবা বাসে আসলে বুঝতে পারে এখানে একটি উৎসব চলছে। ঢাকাসহ অন্যশহরে সেটি বোঝা যায় না। এজন্য চট্টগ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে আমি গর্ব করি। কারণ আমরা চট্টগ্রামের মানুষ নিজেদের দশ টাকা থাকলে আরও দশ টাকা ধার করে খরচ করি। সেইজন্য আমাদের উৎসব অন্যান্য যেকোন জায়গার তুলনায় অনেক বেশি হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জন্মাষ্টমী মহাশোভাযাত্রা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মাইকেল দে। মহাশোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুকুমার চৌধুরী প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ১৯, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test