E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকরা, সদরঘাট থেকে ছাড়ছে না লঞ্চ

২০২২ নভেম্বর ২৭ ১৩:০২:২৩
কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকরা, সদরঘাট থেকে ছাড়ছে না লঞ্চ

স্টাফ রিপোর্টার : নৌযান শ্রমিক পদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ও কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশসহ সাত দফা দাবিতে শনিবার দিবাগত রাত থেকে সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করছেন নৌযান শ্রমিকরা।

কর্মবিরতির কারণে রবিবার সকাল থেকে সদরঘাট থেকে কোনো লঞ্চ ছাড়ছে না বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা। বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলও।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘সাধারণ নৌ-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

নৌযান শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, প্রতি পাঁচ বছর পর নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণার বিধান থাকলে সর্বশেষ মজুরি কাঠামোর মেয়াদ গত বছরের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। কিন্তু নৌযান মালিকদের সংগঠনগুলো বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। এছাড়া এ ১৬ মাসে নৌ মন্ত্রণালয় ও শ্রম অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বহুবার দেন-দরবার করেও ফল পাওয়া যায়নি।

গত সাত বছরে (৬ বছর ৪ মাস) কয়েক দফা দ্রব্যমূল্য বেড়েছে জানিয়ে শ্রমিক নেতারা বলেন, মজুরি-ভাতা বৃদ্ধি না হওয়ায় নৌযান শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। এখন তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই সাধারণ শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হচ্ছে।

সাত দফা দাবিতে যা আছে :
১. ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ও কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ।

২. প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান, স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়লে ছাড়পত্র প্রদান।

৩. চট্টগ্রাম বন্দরসহ সব নৌবন্দরে লাইটার জাহাজসহ অন্যান্য নৌযান রাখার জন্য পোতাশ্রয় নির্মাণ, ঘাট ইজারাদার ও বিআইডব্লিউটিসির ছাড়পত্র দেখার নামে বিভিন্ন স্থানে মালিকদের দালাল কর্তৃক শ্রমিক হয়রানি-নির্যাতন বন্ধ।

৪. উপকূলীয় জাহাজ চলাচলের চুক্তি ও বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রোটোকলের নিয়ম অনুযায়ী ভারতগামী জাহাজের শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস, পোর্টভিসা, নিত্যপণ্য ক্রয়ের সুবিধা ও অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা।

৫. চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের কার্যক্রম পুনরায় বিবেচনা করে ট্যাংকার জাহাজগুলো নিরাপদে চলাচলের সুযোগ নিশ্চিত, নৌযানের ফিটনেস পরীক্ষা এবং ইনল্যান্ড মাস্টার, ড্রাইভার, সুকানী ও গ্রীজারদের যোগ্যতা নির্ধারণী পরীক্ষায় নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও দালালদের দৌরাত্ব্য বন্ধ, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালে পরীক্ষা কেন্দ্র ও নৌ আদালত স্থাপন।

৬. যাত্রবাহী লঞ্চশ্রমিকদের গেজেট অনুযায়ী বেতন দেওয়া, বিভিন্ন ঘাট ও পন্টুনে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর পরিদর্শক এবং মালিকদের হয়রানী ও শ্রমিকদের নামে মিথ্যা মামলা বন্ধ।

৭. নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, নৌ চ্যানেলে জাল ফেলে নৌযান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা ও বিভিন্ন স্থানে বিআইডব্লিউটিএর বারদিং ইজারার নামে চলন্ত জাহাজ থেকে চাঁদাবাজি-শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ, চট্টগ্রাম চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, নাব্যতাহীন নৌপথ ড্রেজিং এবং বয়া-বিকনবাতি ও মার্কা স্থাপন করে নৌ চলাচল সঠিক রাখা এবং অবৈধভাবে বালুমহাল ইজারা বন্ধ।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৭, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৭ জুলাই ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test