E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কুষ্টিয়ায় জাতীয় গ্রীড বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান

২০১৪ নভেম্বর ০৪ ১৪:২১:২৫
কুষ্টিয়ায় জাতীয় গ্রীড বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : জাতীয় গ্রীড বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাংলাদেশ ভারত বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন তদন্ত কমিটি। এসময় তারা ভারতের ৪’শ কেভি বিদ্যুৎ লাইন এবং বাংলাদেশের ২’শ কেভি বিদ্যুৎ লাইন পরিদর্শন করেন। বিদ্যুৎ আমদানী এবং সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রীডে বিতরণ ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখেন তদন্ত কমিটি। এছাড়াও দীর্ঘ সময় ধরে ঘুরে ঘুরে দেখেন উপকেন্দ্রটি। পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তদন্ত কমিটি।

মঙ্গলবার সকালে তদন্ত কমিটি ভেড়ামারার রামকৃঞ্চপুর উপকেন্দ্রে এসে পৌছান। এর নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. আহমেদ কায়কাউস। সঙ্গে ছিলেন সদস্য সচিব পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, বিপিডিবি (উৎপাদন)’র সদস্য, বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী (পিজিসিবি)’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ আহম্মেদ বেরুনী, ইজিসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা পাওয়ার ডিষ্টিবিউশন কোম্পানী’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আরইবি (প্রকৌশল)’র সদস্য বিপিডিবি’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান খিজির খাঁন।

তদন্ত কমিটির প্রধান বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. আহমেদ কায়কাউস সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাক আউট উন্নত অনেক দেশেও হয়েছে। বহু দুর্ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু বাংলাদেশে ব্যাক আউট’র সময় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমরা ভাল ভাবেই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠেছি। বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা হাইওয়ের মতো। বিদ্যুৎ আসছে এবং বিভিন্ন জায়গায় নামানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ দেখা যায় না। এখানে সমস্যা চিহ্নিত করা কঠিন। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সব কিছুই কম্পিউটারাইজড। পাওয়ার সিষ্টেমে প্রতি মিলি সেকেন্ডও রেকর্ড করা হয়। এই ব্যবস্থার কোথায় সমস্যা ছিল তা খতিয়ে দেখতেই আমরা উপকেন্দ্র এসেছি। শুধু এখানে নয় বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ, এবং সঞ্চালন’র কাজ করে বিদ্যুৎ বিভাগ। ৩ জায়গাতেই আমরা তদন্ত করবো।


এটা নাশকতা না দুর্ঘটনা এমন প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, সব বিষয়ই সরকার শক্ত ভাবে মোকাবিলা করছে।


উল্লেখ্য, শনিবার সকাল ১১টা ২৭ মিনিট ২৮ সেকেন্ড’র দিকে হঠাৎ করেই ভেড়ামারার সাব ষ্টেশনে কারিগরি ক্রটি দেখা দিলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানী বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় গ্রীড থেকে বিছিন্ন হয়ে যায় ভারতীয় বিদ্যুৎ। একই সময় সারাদেশে উৎপাদনে থাকা সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রও একযোগে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ধস নামে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। জাতীয় গ্রীড লাইন ফেল করে সারাদেশে দেখা দেয় চরম বিদ্যুৎ বিপযর্য়। স্মরনকালের বিদ্যুৎ বিপযর্য়ে বন্ধ হয়ে যায় কুষ্টিয়াসহ সারাদেশের কলকারখানা। সমস্যা কাটিয়ে উঠতে ১০ ঘন্টা পর ধীরে ধীরে এলাকাভিত্তিক বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়।

(কেকে/এএস/নভেম্বর ০৪, ২০১৪)


পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test