E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

সংসদের প্রথম বক্তব্যেই ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় চাইলেন এ কে আজাদ

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১৩ ০০:০২:৪৭
সংসদের প্রথম বক্তব্যেই ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় চাইলেন এ কে আজাদ

রিয়াজুল রিয়াজ, বিশেষ প্রতিনিধি
ফরিদপুরকে আধুনিক, উৎপাদনশীল ও স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ। তিনি বলেন, ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা দরকার। দরকার ফরিদপুর-বরিশাল সড়ককে চার লেনে রুপান্তর করা। উচ্চশিক্ষা বিস্তারে সরকারের আন্তরিকতার প্রতিফলন হতে পারে ফরিদপুরে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।

জাতীয় সংসদে আজ সোমবার সন্ধ্যায় নিজের প্রথম বক্তব্য এসব কথা বলেন এ কে আজাদ। প্রথমবার সংসদ সদস্য হতে পেরে এ কে আজাদ আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানান। গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। কৃতজ্ঞতা জানান ফরিদপুর-৩ আসনের সকল ভোটারের প্রতিও।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও ভবিষ্যৎমুখী নেতৃত্বের প্রশংসা করে আজাদ বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থান ছাড়া পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হতো না। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগও যুগান্তকারী ঘটনা। ঢাকা থেকে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত যে উন্নয়ন হয়েছে, তার সঙ্গে ফরিদপুর শহরকে যুক্ত করা দরকার।'

ফরিদপুরকে আধুনিক, উৎপাদনশীল এবং স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আজাদ বলেন, 'ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা দরকার। দরকার ফরিদপুর-বরিশাল সড়ককে চার লেনে উন্নীত করা।'

দেশের বেশিরভাগ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সম্ভব হয়নি বলেও সংসদে জানান এ কে আজাদ। উচ্চশিক্ষা বিস্তারে সরকারের আন্তরিকতার প্রতিফলন হতে পারে ফরিদপুরে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজাদ বলেন, ‘ফরিদপুরের ৪১৫ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কের মধ্যে ২৫০ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা নাজুক। দ্রুত এর মেরামত হওয়া দরকার।’

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত মানবসম্পদ গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে এ কে আজাদ বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২২ সালের প্রতিবেদনমতে, দেশের প্রায় ৪১ শতাংশ তরুণ নিষ্ক্রিয়। তারা পড়াশোনায় নেই, কর্মসংস্থানেও নেই; এমনকি কোনো কাজের জন্য প্রশিক্ষণও পাচ্ছেন না। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী এ ধরনের তরুণের সংখ্যা অন্তত ১ কোটি ২৯ লাখ। অন্যদিকে গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ১৬৭ জন। আমাদের মানবসম্পদকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে পারলে যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে তেমনি বৈদেশিক মুদ্রা দেশ থেকে বাইরে যাওয়াও ঠেকানো যাবে।

ঋণ নিয়ে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘যারা ঋণ নিয়ে কলকারখানায় বিনিয়োগ করে ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের ছাড় দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু যারা ঋণ নিয়ে পাচার করেছেন, বিদেশে বেগম পাড়া সেকেন্ড হোম বানিয়েছেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।’

পাঠকের মতামত:

২৭ জুলাই ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test