E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

বাংলাদেশ সবুজ পোশাক কারখানার অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ২৭ ১৭:৪০:৪৩
বাংলাদেশ সবুজ পোশাক কারখানার অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন (এলইইডি) সনদ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সবুজ পোশাক কারখানা থাকায় বাংলাদেশ অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণার প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে।

গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল ইনস্টিটিউটের (জিবিসিআই) মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ও সহযোগী পরিচালক (ইউএসজিবিসি) শান্তনু দত্ত গুপ্ত’র মতে, গ্রিন বিল্ডিং খাতে বাংলাদেশের অর্জন শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ায় আলোচিত হয় না, পশ্চিমা বিশ্বেও প্রায়ই আলোচিত হয়।

বাংলাদেশে বর্তমানে ২০৯টি কারখানায় এলইইডি সনদ রয়েছে। এর মধ্যে প্লাটিনাম ৭৯টি, স্বর্ণ ১১৬টি, রৌপ্য ১০টি এবং বাকিগুলো সবুজ। বিশ্বের সর্বোচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত সবুজ ভবন এসএম সোর্সিং, যা ১১০ পয়েন্টের মধ্যে ১০৬ স্কোর করেছে, সেটিও বাংলাদেশে অবস্থিত। এই প্রতিষ্ঠানের কাছে সনদ হস্তান্তর করতে ঢাকায় এসেছিলেন শান্তনু।

এলইইডি সনদপ্রাপ্ত পোশাক কারখানার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয়, শীর্ষ ১০০ টির মধ্যে ৫৪টি এবং দেশের শীর্ষ ২০টি সবুজ কারখানার মধ্যে ১৮টি কারখানা রয়েছে।

ইউএসজিবিসির এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, বৈশ্বিক পোশাক বাণিজ্যে বাংলাদেশের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর অন্যতম ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গ্রিন গার্মেন্টস খাতে বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। সবুজ পোশাক কারখানায় বিশ্বব্যাপী চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ফলে দেশ এবং এই খাতের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে, আন্তর্জাতিক পোশাক খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ডগুলো উচ্চ পরিমাণে কাজের অর্ডার দিয়েছে, যা অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ের ক্ষতি করেছে। তখন থেকে গুপ্তা ভিয়েতনামে সবুজ পোশাক কারখানা স্থাপনে কাজ করছেন এবং এখন ভিয়েতনামেও বেশ কয়েকটি সবুজ পোশাক কারখানা গড়ে তুলছে।

গুপ্ত আরও বলেছেন যে, ১১০ টির মধ্যে ১০৬ পয়েন্ট অর্জন করা বিশ্বের একটি অনন্য উদাহরণ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, স্পিরিট ধরে রাখতে হবে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৭ জুলাই ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test