E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘ভাসানটেক বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করা হবে’

২০২৪ এপ্রিল ০৭ ১৭:৩৮:২৭
‘ভাসানটেক বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করা হবে’

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর মিরপুরের ভাসানটেক বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

রবিবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে মিরপুর ভাসানটেক এলাকায় মাহে রমজান উপলক্ষে ডিএনসিসির উদ্যোগে এবং চীন দূতাবাসের সহযোগিতায় ভাসানটেক বস্তিতে বসবাসকারী এক হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ভাসানটেক বস্তিবাসীদের পরিকল্পিত পুনর্বাসনের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। ভাসানটেক বস্তির পরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে একাধিকবার আলাপ করেছি। এখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করে বস্তিবাসীদের জন্য আবাসনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত বস্তি উচ্ছেদ করা হবে না। বস্তিগুলোতে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মহাখালী সাততলা বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করা হয়েছে। ভাসানটেক বস্তিতেও দ্রুত সময়ের মধ্যে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করে দিব।

মেয়র বলেন, পবিত্র রমজান মাস প্রায় শেষ পর্যায়ে। দুদিন পরেই ঈদ। ঈদে সুবিধাবঞ্চিত মানুষ না খেয়ে থাকবে এটা হতে পারে না। তাই চীন দূতাবাসের সহযোগিতায় ভাসানটেক বস্তির এক হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো আপনারা সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। তাদেরকে সহযোগিতা করবেন।

চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে উল্লেখ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, চীন দূতাবাসের সাথে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন চমৎকারভাবে কাজ করছে। ডিএনসিসির আহবানে সাড়া দিয়ে চীন দূতাবাস সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এর আগেও তাদের সহযোগিতায় কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারী নারীদের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় শহরজুড়ে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এডিস মশার প্রজনন স্থল এবং পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, ডাবের খোসা, অব্যবহৃত টায়ার, কমোড ও অন্যান্য পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি জনগণের নিকট হতে নগদ মূল্যে সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে যেকেউ উল্লিখিত দ্রব্যাদি জমা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। চিপসের প্যাকেট/সমজাতীয় প্যাকেট (১০০টি) ১০০ টাকা, আইসক্রিমের কাপ, ডিসপোজেবলব গ্লাস/কাপ (১০০টি) ১০০ টাকা, অব্যবহৃত পলিথিন (প্রতি কেজি) ৫০ টাকা, ডাবের খোসা (প্রতিটি) ০২ টাকা, মাটি/প্লাস্টিক/মেলামাইন/সিরামিক ইত্যাদির পাত্র (প্রতিটি) ০৩ টাকা, পরিত্যক্ত টায়ার (প্রতিটি) ৫০টাকা, কনডেন্সড মিল্কের কৌটা (প্রতিটি) ২টাকা, পরিত্যক্ত কমোড/বেসিন ইত্যাদি (প্রতিটি) ১০০ টাকা, অন্যান্য পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দ্রব্যাদি (প্রতি কেজি) ১০ টাকায় কিনে নিবে ডিএনসিসি।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশ ও চীন পরস্পরের নির্ভরযোগ্য বন্ধু এবং সহযোগিতার অংশীদার। চীন দূতাবাস সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কিছু করার ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ। ডিএনসিসিতে সহযোগিতায় এটি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। এর আগে গত নভেম্বরে ডিএনসিসির আওতাধীন বনানীর কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারী ১৪২৫ জন নারীকে স্বয়ংক্রিয় সেলাই মেশিন বিতরণ করেছি।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জহির আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সাহিদা আক্তার শীলা, ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান এবং প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মামুন-উল-হাসান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এক হাজার জনের প্রত্যককে ৮ কেজি মিনিকেট চাল, ১ কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি পেয়াজ, ৩ কেজি আলু, ১ কেজি চিনি, হলুদ ও মরিচের গুড়ার ১০০ গ্রাম প্যাকেট এবং ১ প্যাকেট সেমাই দেওয়া হয়।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ০৭, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test