E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় দেখে না : প্রধানমন্ত্রী 

২০২৪ এপ্রিল ৩০ ২৩:৩৫:৩২
যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় দেখে না : প্রধানমন্ত্রী 

স্টাফ রিপোর্টার : যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় না দেখে, মানবাধিকার নিয়ে ছবক দেয় বাংলাদেশকে। ফিলিস্তিনে যুদ্ধের বিরোধিতা করায় সাধারণ মানুষের আন্দোলনে কী জুলুমটাই না করলো আমেরিকার পুলিশ। এটা তো মানবাধিকার লঙ্ঘন। এর জবাব কী?

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ হত্যার জবাব চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ঘরে ঢুকে আমাদের বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। মানবাধিকার সংস্থা এবং যারা আমাদের স্যাংশনস (নিষেধাজ্ঞা) দেয়, তারা এর কী জবাব দেবে? আমি এর জবাব চাই।

ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলনরতদের ওপর হামলার ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন দাবি করে সেটিরও জবাব চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতি হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রতিবেদনেরও সমালোচনা করেন তিনি।

আমেরিকায় ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের হামলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই দেশে মানবাধিকার কতটুকু আছে সেটাই প্রশ্ন। কথা বলার স্বাধীনতা কতটুকু আছে সেটাই প্রশ্ন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকার কতটুকু আছে সেটাই প্রশ্ন।

শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর মানবাধিকারে রিপোর্ট লেখে, কিন্তু আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে না। এটাই প্রশ্ন। তারা যেভাবে আচরণ করে, সেইভাবে আমাদের পুলিশতো করেনি। ধৈর্যের পরিচয় দিতে গিয়ে উল্টো বিএনপির হাতে মার খেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজ আমেরিকার কোনো পুলিশের ওপর কোনো দলের লোক হাত দিত, তখন তারা কী করত? প্রতিনিয়ত আমাকে হত্যা করবে, আমাদের ক্ষমতা থেকে হটাবে, আবার ১৫ আগস্ট ঘটাবে। তা আমরা অনবরত শুনেই আসছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বাঙালি মারা গেছে। সেই দিনও দুজন মারা গেল। আমি প্রতিবাদ জানাই। তারা জীবন-জীবিকার জন্য গেছে। কিন্তু তাদের এভাবে হত্যা করবে কেন? তারাতো কোনো অপরাধ করেনি। বাচ্চা ছেলেও তাদের হাত থেকে রেহাই পায় না। মাজুর ব্যক্তি যে হাঁটতে পারে না, প্রেসিডেন্টকে কী বলেছে এজন্য ঘরে ঢুকে তাকে হত্যা করেছে। কী জবাব দেবে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এখন মানবাধিকারের গীত গায় এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার খুঁজে বেড়ায়। তারা কী জবাব দেবে। আমি সেই জবাব চাই। মানবাধিকার সংস্থা, বিচার বিভাগ, যারা আমাদের নিষেধাজ্ঞা দেয়, আমাদের ওপর খবরদারি করে তাদের কাছে জবাব চাই। সেখানে আমার বাঙালি কেন মারা যাবে? ওই রকম ছোট্ট একটা শিশুকে মায়ের কোল থেকে নিয়ে হত্যা করা। শিক্ষকদের ওপর নির্যাতন করা এর জবাব আমরা চাই। এটাতো সম্পূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘন করা। গত মার্চ মাসে নিউইয়র্কের কুইন্সে পুলিশের উইন রোজারিও এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ৩০, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test