E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জয়কে নিয়ে নতুন করে ভাবছে পীরগঞ্জবাসী

২০১৫ জানুয়ারি ১৩ ১১:৫০:৫৫
জয়কে নিয়ে নতুন করে ভাবছে পীরগঞ্জবাসী

রংপুর প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে নতুন করে ভাবছে পীরগঞ্জের মানুষ। রংপুরে মায়ের সাথে বিভিন্ন সভা সমাবেশে যোগ দেওয়া ছাড়া নিজেও বিভিন্ন সভায় বক্তৃতা করছেন। কিন্তু ভোটের রাজনীতি তিনি শুরু না করলেও বাপ-দাদার ভিটে মাটি থেকে ভোটের রাজনীতির শুরু করবেন বলে মনে করছেন পীরগঞ্জ আওয়ামী লীগ এবং তার পরিবার এমনকি এ এলাকার মানুষ। এ জন্য রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ থেকে এবং পীরগঞ্জ আওয়ামী লীগের ১ নম্বর সদস্য করা হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই।

স্থানীয় তৃণমুল পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ধারণা করছেন, সজীব ওয়াজেদ জয় মায়ের হাল ধরবেন বাবার বাড়ি থেকে। কারণ এই আসনে তার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন করেছেন এবং নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

স্থাণীয় আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, ২০০১ সালে সজীব ওয়াজেদ জয় রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হন। এরপর ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে ব্যালটের মাধ্যমে মোতাহারুল হক বাবলু সভাপতি ও তাজিমুল ইসলাম শামীম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেই থেকে সাধারণ নেতা-কর্মীরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তাগিদ দিয়ে আসলেও দীর্ঘ ২৩ মাস পর সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রথম সদস্য করে ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। রংপুর জেলা কমিটি এই কমিটির অনুমোদন দেয়।

রংপুরের পীরগঞ্জ আসনটি দেশে ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এ আসন থেকেই পর পর ২ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ আসনের এমপি। তিনি উপ-নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদও দু’দফায় এ আসন থেকে এমপি হয়েছিলেন। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে এসে এই আসন থেকেই নির্বাচন করবেন সজীব ওয়াজেদ জয়, এমনটাই আলোচনা শুরু হয়েছে পীরগঞ্জ তথা গোটা রংপুরে।

পীরগঞ্জবাসী মনে করছেন, সজীব ওয়াজেদ জয় পীরগঞ্জ সফরে এসে বিভিন্ন সভায় রংপুরের ভাষায় বলেছেন ‘মুই ফির ফিরি আসিম, তোমরা মোক দোয়া করবেন’। বার বার এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করায় এবং এবারের উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে তাকে ১ নম্বর সদস্য রাখায় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছেন উপজেলাবাসী।

পীরগঞ্জে হোটেলে চা খেতে খেতে কথা হয় চা বিক্রেতা মজিবর রহমানের সাথে। তিনি রংপুরের ভাষায় বলেন, এরশাদ আছিল হামারগুলোর ছৈল। এলাতো বুড়ো হইছে। কুন্দিন বা মরি যায়। এলা হামরা জয়োক চাই। জয় হামার ছৈল, নোয়ায় বাহে। জয় হৈলি ভালো হয়। ভোটত দাঁড়ালে আমরা তাকে ভোট দেমো।

একই কথা বলেন রিকশাচালক হামিদ। তিনি বলেন, ‘জয় হইল হামার এলাকার ছৈল। তাকে হামরা চাই’।

স্থানীয় এক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ফয়সাল কবির জানান, পীরগঞ্জে আমরা তার বক্তৃতা শুনেছি। তিনি রংপুর তথা পীরগঞ্জের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন। এমনকি মেরিন একাডেমিসহ অনেক উন্নয়ন শুরু হয়েছে পীরগঞ্জে। যা আগে কখনো হয়নি। তাই পীরগঞ্জের সাথে ঘরের ছেলে ঘর থেকেই নির্বাচন শুরু করুক।

স্থানীয় সাংবাদিক এটিএম মাজহারুল ইসলাম মিলন জানান, জয় পীরগঞ্জের সন্তান। সব চেয়ে বড়কথা হলো তিনি বঙ্গবন্ধুর নাতী। তার মত নেতাকে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আমরা চাই আগামী নির্বাচনেই তিনি পীরগঞ্জ থেকে নির্বাচন করবেন।

আওয়ামী লীগের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও জয়ের জ্যাঠাত বড় ভাই তাজিমুল ইসলাম শামীম জানান, পীরগঞ্জের মানুষ জয়কে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। সে কারণেই তাকে সদস্য করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, জয় পীরগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী দিনে তিনি পীরগঞ্জ আওয়ামী লীগের হালও ধরবেন।

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন তাকে নিয়ে। আমরা তাকে নিয়েই স্বপ্ন দেখি। আমাদের প্রিয় নেত্রী যে ভিশণ ২০২১ ঘোষণা করেছেন এ সবের পূর্ণাঙ্গতা লাভ করবে সজীব ওয়াজেদ জয়কে দিয়ে ইনশাআল্লাহ। আমরা তাকে নিয়ে আশাবাদি। তিনি আমাদের ভবিষ্যত কর্ণধার হবেন। এটিই আমাদের আশা।

(ওএস/এটিআর/জানুয়ারি ১৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

৩০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test