E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দেশে ফেরার অনুমতি পেয়েছেন চীনের ২৪ নাবিক

২০১৫ জুলাই ০৭ ১২:২০:০০
দেশে ফেরার অনুমতি পেয়েছেন চীনের ২৪ নাবিক

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : কোকেন জটিলতায় আটকে যাওয়া চীনের ২৪ নাবিক স্বদেশে ফেরত যাবার অনুমতি পেয়েছেন। তারা যে জাহাজে চট্টগ্রামে এসেছিলেন সেটির মালিক প্রতিনিধি কসকো শিপিং লাইনের কর্মকর্তাকে ডেকে মঙ্গলবার ছাড়পত্র দিয়েছে নগর পুলিশের বিশেষ শাখা।

বুধবার চীনের ২৪ নাবিককে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কসকো শিপিং লাইনের এক কর্মকর্তা।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ শাখার উপ কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, কোকেন আমদানির মামলাটি তদন্ত করছে ডিবি। আমদানির সঙ্গে কসকো শিপিং লাইনের সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়ে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চীনের ২৪ নাবিকও কসকো শিপিং লাইনের জাহাজে এসেছে। এজন্য তাদের কোন প্রয়োজন আছে কিনা সেট‍া ডিবি’র কাছে জানতে চেয়েছিলাম।

ডিবি প্রয়োজন নেই বলে জানানোর পর বিশেষ শাখা তাদের ফেরত যাবার অনুমতি দিয়েছে বলে জানান মোয়াজ্জেম।

মঙ্গলবার ২৪ নাবিককে স্বদেশে পাঠানোর জন্য বিমানের টিকেট করেছিল কসকো শিপিং লাইনস। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় শেষ মুহুর্তে সোমবার বিকেলে টিকেট বাতিল করে প্রতিষ্ঠানটি।

কসকো শিপিং লাইনসের বাল্ক বিভাগের সহকারি ম্যানেজার (অপারেশন) এ এম রেজা বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার তাদের চীনে পাঠানোর জন্য নতুনভাবে টিকেট করা হয়েছে।

পানামার পতাকাবাহী বাও লং নামে একটি স্ক্র্যাপ জাহাজ নিয়ে গত ২৬ জুন ২৪ নাবিক চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিলেন। সীতাকুণ্ডের শীতলপুরের একটি কারখানা জাহাজটি কিনেছিল। ওই জাহাজের দেশিয় প্রতিনিধি কসকো।

জাহাজটি ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করে ২৪ নাবিকের ৭ জুলাই দেশে ফিরে যাবার কথা। নিয়ম অনুযায়ী ২ জুলাই নগর পুলিশের বিশেষ শাখায় ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করে কসকো।

কোকেন আটকের মামলার সঙ্গে ২৪ নাবিকের কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে কিনা তা জানতে চেয়ে ৫ জুলাই নগর গোয়েন্দা পুলিশকে চিঠি দেয় বিশেষ শাখা। এতে আটকে যান চীনা নাবিকরা।

আটকে পড়া ২৪ নাবিক হচ্ছেন, বাও লং জাহাজের ক্যাপ্টেন ট্যাং জুইও, চিফ অফিসার ড্যাং জিয়ান কুই, সেকেন্ড অফিসার উ হু, থার্ড অফিসার উ ইয়ং ইয়ান, চিফ ইঞ্জিনিয়ার লিউ কিয়াং, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার অ্যাংজুইয়েন ডাক ডাং, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার গুও জেন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার ট্যাকুয়ান ইউ, বোসুন ইয়াংজি, এবি লিউ হাও, এবি ইয়ং ইয়াং ইয়ান, ফিটার হু কং পিং, এবি টু লংটাই, এবি ভুই ভেন লং, এবি নিউ পিং চাও, ক্যাডেট ওয়াং দ্যা চেং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মৌ জিয়াদং, এম এম জু হুইজেন, এম এম লুও ইয়ং, চিফ কুক ওয়াং ফ্যাশন, এম এম লিং ওয়েনফি, ক্যাডেট ফেং হানকুই, এবি বাই জিয়াউই এবং ক্যাডেট লি টং।

নগর পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে তরল কোকেন সন্দেহে গত ৬ জুন রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার বন্দরে সিলগালা করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ৮ জুন এটি খুলে ১০৭টি ড্রামের প্রতিটিতে ১৮৫ কেজি করে সানফ্লাওয়ার তেল পাওয়া যায়। তেলের নমুনা প্রাথমিক পরীক্ষা করে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলে উন্নত ল্যাবে কেমিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

২৭ জুন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর জানায়, কেমিক্যাল পরীক্ষায় একটি ড্রামে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

কোকেন আমদানির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কসকো শিপিং লাইনসের ম্যানেজার এ কে আজাদ, মোস্তফা কামাল এবং তার ভাতিজা আতিকুর রহমানকে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর আটক করেছে। পরে তাদের মামলার তদন্তকারী সংস্থা নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

(ওএস/এএস/জুলাই ০৭, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test