E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘বাহুবলের ৪ শিশু হত্যার বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হবে’

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯ ১৩:৪৬:৪৮
‘বাহুবলের ৪ শিশু হত্যার বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হবে’

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, হবিগঞ্জের বাহুবলের সুন্দ্রাটিকিতে চার শিশু হত্যার বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হবে। তিনি বলেন, অন্যান্য শিশু নির্যাতন মামলার বিচারকাজ এর আগে যেভাবে হয়েছে, এটিও সেভাবে হবে।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সুন্দ্রাটিকিতে নিহত শিশুদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন প্রতিমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল থেকে প্রত্যেক পরিবারকে তিনি ৫০ হাজার করে টাকা দেন। তাঁদের সব ধরনের আইনি সহযোগিতা দেবেন বলে আশ্বাস দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই চার শিশু হত্যার দায় আমরা কেউ এড়াতে পারি না। এই পৃথিবীতে শিশুকে আমরা নিয়ে এসেছি। তাদের সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমরা কেউই এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারছি না। যে কারণে এ দেশে শিশু হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সময় পুলিশ ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বে অবহেলা থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় জাতীয় পার্টির সাংসদ এম এ মুনিম বাবু, নারী সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত শুক্রবার পাশের গ্রামে খেলা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুন্দ্রাটিকির মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমদ, আবদুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া, আবদাল মিয়ার ছেলে মনির ও আবদুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন। গত বুধবার সকালে গ্রাম থেকে এক কিলোমিটার দূরের একটি ছড়ায় বালু তুলতে গিয়ে শ্রমিকেরা বালুচাপা অবস্থায় একটি শিশুকে দেখতে পান। অভিভাবকদের উপস্থিতিতে পরে পুলিশ এসে নিখোঁজ এই চার শিশুর লাশ উদ্ধার করে।

চার শিশু হত্যার ঘটনায় আবদুল আলী ও তাঁর ছেলে জুয়েলের পাশাপাশি রুবেল (১৮), আরজু (৪০) এবং বশির মিয়া (৪০) নামে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে আবদুল আলী ও জুয়েলকে গতকাল হবিগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। পুলিশ তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালতের বিচারক কাউসার আলম আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি পুলিশ গত মঙ্গলবার দায়ের করা অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য আদালতে আবেদন করে। আদালত তা মঞ্জুর করেন। হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

আলোচিত মামলাটি বাহুবল থানা থেকে হস্তান্তর করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মোক্তাদির হোসেন।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test