E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আলবদর কমান্ডার কাসেম আলীর দাফন সম্পন্ন

২০১৬ সেপ্টেম্বর ০৪ ০৩:৫৫:১৬
আলবদর কমান্ডার কাসেম আলীর দাফন সম্পন্ন

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝোলানোর পর আলবদর কমান্ডার মীর কাসেম আলীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চালা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

০৩ সেপ্টেম্বর, শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে মীর কাসেমের মরদেহ হরিরামপুরে পৌঁছালে তা গ্রহণ করেন তার পরিবারের সদস্যরা। পরে কড়া নিরাপত্তায় সোয়া ৩টার দিকে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর স্থানীয় মসজিদের উত্তর পাশের কবরস্থানে সাড়ে ৩টায় তাকে দাফন করা হয়।

আইন শৃংখলা-বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার স্বার্থে গণমাধ্যমকর্মীদের দাফনের স্থানে যেতে দেননি। এর আগে রাত সাড়ে দশটায় মীর কাসেম আলীর স্ত্রী, দুই ছেলের স্ত্রী, দুই মেয়ে, চার ভাগ্নি ও ভাতিজাসহ ৪০ জন আত্মীয়-স্বজন দাফনের স্থলে আসেন। দাফন শেষে তারা ঢাকায় ফিরে যান।

ভোর পৌনে ৪টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে রওনা হয় কারাগারের গাড়ি বহর।

এর আগে বিকেল থেকে কবর খোড়ার কাজ শুরু হয়, শেষ হয় রাতে। বিকেল থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন থানীয় প্রশাসন।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় ফাঁসিতে ঝোলানো হয় দেশের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীকে। গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ফাঁসির মঞ্চে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

সে সময় কারাগারের সামনে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, রাত ১০টার পরই মীর কাসেম আলীকে ফাঁসির মঞ্চে তুলে গলায় ফাঁস পরানো হয়। আর এরপর ফাঁসি দিয়ে ঠিক রাত ১০টা ৩০ মিনিটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

মীর কাসেমের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধে ষষ্ঠ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এর আগে একই অপরাধে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী এবং জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

(ওএস/অ/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test