E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘শেখ হাসিনা নারী অধিকারের স্তম্ভ’

২০১৬ সেপ্টেম্বর ১৭ ২০:৫৪:৪২
‘শেখ হাসিনা নারী অধিকারের স্তম্ভ’

নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ’ বলে অভিহিত করেছেন কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী মেরি-ক্লড বিবেউ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেরও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।

শুক্রবার মন্ট্রিলের হায়াত রিজেন্সিতে ‘ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেনন্স’ এ সঞ্চালকের দায়িত্ব পালনকালে শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার আহ্বানের সময় মেরি-ক্লড এ প্রশংসা করেন।

শুক্রবার শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী এ ‘ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্স’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ছাড়াও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সল, টোগোর প্রেসিডেন্ট ফউরি জিনাসিব, গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক মার্ক আর ডাইবুল ও আন্তর্জাতিক সংস্থা লা ফ্রাঙ্কোফোনির মহাসচিব মিসাইল জেন বক্তব্য রাখেন।

কানাডার মন্ত্রী মেরি-ক্লড বলেন, শেখ হাসিনাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই, যিনি ‘নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ।’

পরে দেওয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন এবং মেয়ে ও নারীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে স্বাস্থ্যখাতে সংযুক্তিতে তার সরকারের অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রথমত নারীর ক্ষমতায়নে আমাদের সরকার মেয়েদের শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, যা নারীর ক্ষমতায়নে খুবই ক্ষমতাশালী একটি উপাদান। আমরা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছি। তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এসব পদক্ষেপ শুধু মেয়েদের স্কুলগামী বা তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে উন্নয়নই করছে না, এতে বাল্যবিয়ে, মাতৃত্ব ও শিশু মৃত্যুর হারও কমাচ্ছে।

“দ্বিতীয়ত সহিংসতা নারীর দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এ ক্ষেত্রে নারীর প্রতি যেকোনো সন্ত্রাস ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছি। আর তৃতীয়ত দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জন্য আমরা সারাদেশে ১৬ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন হেলথ সেন্টার স্থাপন করেছি। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে গুণগতমানের সেবা দেওয়া হচ্ছে।”

‘কমিউনিটি ক্লিনিকে বেশির ভাগ কর্মীই নারী’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে ৩০ প্রকারের ওষুধ সরবরাহ করা হয়।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test