E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘একটি জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিকল্প নেই’

২০১৬ নভেম্বর ১৯ ১৭:২৪:৩৯
‘একটি জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিকল্প নেই’

চবি প্রতিনিধি : জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর বলেছেন, জাতীয় শিক্ষাঙ্গনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আজ এক মহিরুহে পরিণত হয়েছে। যে ভিশনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা শুরু হয়েছিল তা কতখানি পূরণ হয়েছে সেটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়।

শনিবার বেলা ১২ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলো শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে এ বিদ্যাপীঠ।

চবিকে লিবিং একাডেমি ইনস্টিটিউশন আখ্যা দিয়ে স্পিকার আরো বলেন, শিক্ষার আলো বিচ্ছুরণের মধ্যে দিয়ে দেশকে উজ্জ্বল করেছে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চবির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা যারা বর্তমানে অ্যালামনাই তাদের সুনাম খ্যাতি আজ বিশ্বজোড়া। এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আজ ‘পাথ অব গ্লোবাল কমিউনিটি’।

জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সমাজের কেন্দ্রবিন্দুতে। জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আলোকিত করছে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুবর্ণজয়ন্তীর শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবিষ্যতে আসার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিটও অবমুক্ত করা হয়।

অনুষ্ঠানে সুবর্ণজয়ন্তী বক্তা হিসেবে স্মারক বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। তিনি বলেন, আমি যখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিই। তখন এর আয়তন ছিল অনেক ছোট। ফলে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঠিক তেমনি ঘেঁষাঘেঁষিও করতে ভালো লাগার সঙ্গে মন্দ লাগার ব্যাপারও ঘটে। তবে সেসবের চেয়ে বড় কথা, প্রাথমিক পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা শিক্ষক তাদের বেশিরভাগই ছিলেন যোগ্যতাসম্পন্ন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ওয়াসিকা নাজনিন প্রমুখ।

এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন সিটি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, জাতীয় সংসদের প্রাক্তন চিফ হুইপ উপাদাক্ষ্য আবদুস শহীদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. কামরুল হুদা, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম তালুকদার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেয়া হয়। শহীদদের পক্ষ থেকে তাদের আত্মীয় স্বজনরা স্পিকারের কাছ থেকে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ১৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test