E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চিকুনগুনিয়া ধরলে বুঝতেন : ডেপুটি স্পিকারকে ফিরোজ

২০১৭ জুলাই ১২ ১২:৩৭:৪২
চিকুনগুনিয়া ধরলে বুঝতেন : ডেপুটি স্পিকারকে ফিরোজ

স্টাফ রিপোর্টার : ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়াকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, চিকুনগুনিয়া যদি আপনাকে ধরত তাহলে বুঝতেন এটা কী জিনিস। আপনি ওখানে বসতে পারতেন না। আমরা যারা সংসদে আছি জমও আসে না আমাদের ভয়ের কারণে। আজ প্রতিটি ঘরে ঘরে সাধারণ মানুষ চিকুগুনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় চিকুনগুনিয়া নিয়ে তিনি বক্তব্য দিতে চাইলে ডেপুটি স্পিকার তাকে বাধা দিয়ে নোটিশ দিতে বলেন। এরপর তাদের মধ্যে যুক্তি পাল্টা যুক্তি চলে। এর আগে চিকুনগুনিয়া নিয়ে ৩০০ বিধিতে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ফিরোজ রশীদ আরও বলেন, আজ সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে বললেন। কিন্তু আজ যদি আপনাকে চিকুনগুনিয়া ধরত তাহলে বুঝতেন এটা কি জিনিস। আপনি ওখানে বসতে পারতেন না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বললেন হাসপাতাল খোলা আছে। কিন্তু মানুষের হাসাপাতালে যাওয়ার শক্তি নেই, অর্থ নেই। মানুষ মৃত্যুশয্যায় শায়িত। কারা দায়ী। আজ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে কি কোনো জবাবদিহিতা করতে হয়েছে?

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে জাতীয় পার্টির এ নেতা বলেন, অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তিনি সুইস ব্যাংকে অর্থপাচার বিষয়ে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দিয়েছেন। অথচ কিছুদিন পূর্বে আমরা দেখেছি দেশ থেকে কত টাকা সুইস ব্যাংকে পাচার হয়েছে, কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এর প্রতিবাদ করা হয়নি। অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেরিতে হলেও অবশেষে তিনি এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।

অর্থ মন্ত্রণালয় আগে থেকে যদি প্রতিবাদ করত তাহলে মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হতো না। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী আজ যে স্বীকার করছেন, এর মধ্যে মাহাত্ম থাকে। সত্যকে আড়াল করার জন্য আরও ৫টি মিথ্যা বলতে হয়। আজ যে তিনি সত্য কথা বলেছেন এজন্য ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, আজ ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে কোনো বিবৃতি আসে না। যখন জনগণ ধরেই নেই টাকা লুটপাট হয়েছে। পত্রিকায় প্রতিদিন অর্থ লোপাটের তথ্য আসে। অর্থমন্ত্রী তো কাউকে টাকা দেন। দেয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। ঋণের টাকা বোর্ড অনুমোদন করে, ব্যাংক দিয়ে দেয়। আজ সরকারি ব্যাংকের বোর্ডে নিয়োগ পায় রাজনীতিবিদরা। আমাদের প্রতিবাদটা এখানেই। যে সকল রাজনৈতিক লোক নিয়োগ পান তাদের ব্যাংকিং বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তারা বোঝে কত টাকা পার্সেনটেজ দিলে কত টাকা অনুমোদন দেবে। এমন কি বেসরকারি ব্যাংকেও লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। আজ অর্থমন্ত্রী যে ঋণ খেলাপিদের নাম প্রকাশ করেছে প্রকৃতপক্ষে তা কিছুই না।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test