E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

ভোট শেষে গণনা চলছে, ১টি কেন্দ্র বন্ধ

২০১৪ জুন ২৬ ২০:০১:৫১
ভোট শেষে গণনা চলছে, ১টি কেন্দ্র বন্ধ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন গণনা চলছে। নির্বাচনে অনিয়মের কারণে ১টি কেন্দ্র বন্ধ করেছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা।

এছাড়া আরো কয়েকটি কেন্দ্র বন্ধ করা হতে পারে বলে একজন থানা নির্বাচন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে এ নির্বাচনে ৪০ শতাংশের কিছু ভোট পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দিনভর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ভোটগ্রহণ করেছে ইসি। এরই ফলশ্রুতিতে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া সকালে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও বিকেলে অনুকূল আবহাওয়ায় ভোটারদের উপস্থিতি বেড়েছে বলে বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

তবে তুলনামূলকভাবে প্রায় সব কেন্দ্রেই নারী ভোটার কম ছিলো। কর্মকর্তারা এ নির্বাচনে গড়ে ৪০ শতাংশের কিছু ওপরে ভোট পড়েছে বলে ধারণা করছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বলেছেন, বিকাল চারটায় ভোট শেষ হয়েছে। সকালের তুলনায় বিকালের দিকে ভোট বেশি পড়েছে।

তিনি বলেন, গাজীপুর উপনির্বাচনে সকালে এ নির্বাচনে চেয়েও কম ভোট পড়েছিলো। আর সে নির্বাচনে মোট ভোটের হার ৩৮ শতাংশের মতো ছিলো। গণবিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এ এস এম মেছবাহ উদ্দিন বলেন, এখানে ২ হাজার ৬ ভোটারের মধ্যে ৪০ শতাংশের ওপরে ভোট পড়তে পারে। তবে নারী ভোটার ছিলো কম।

গণবিদ্যা নিকেতনের এক নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. হাবিব উল্লাহ বলেন, তার কেন্দ্রে ৪৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বিকাল তিনটা পর্যন্ত। তবে পুরুষ ভোটার ৫১ শতাংশ আর নারী ভোটারের ৪১ শতাংশ উপস্থিতি ছিলো।

নারায়ণঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানান, ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ভোট হতে পারে। তবে নারী ভোটার কম।

বন্দন থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৩ নম্বর কেন্দ্রের (মদনগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) প্রিজাডিং কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান জানান, এখানে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।

বন্দর থানার আরো কয়েকজন প্রিজাইডিং কর্মকতাও একই তথ্য দিয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনে অনিয়মের ঘটনায় ১১৭ নম্বর কেন্দ্রটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ১১৯, ১২২, ১৩৪ ও ১৩৮ নম্বর কেন্দ্রের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ায় তা খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন।

এ নির্বাচনে মোট ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ১৪১টি ভোটকেন্দ্রের ৬৭৪টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এ কে এম সেলিম ওসমান (লাঙ্গল প্রতীক), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার (গামছা প্রতীক), নাগরিক পরিষদের প্রার্থী আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আকরাম (আনারস প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ (চিংড়ী প্রতীক) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তবে ভোটারদের ধারণা মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সেলিম ওসমান ও এসএম আকরামের মধ্যে।

(ওএস/এটিআর/জুন ২৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test