E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘আমরা বিচার বিভাগ যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি’

২০১৭ আগস্ট ২০ ১২:২৯:০৪
‘আমরা বিচার বিভাগ যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি’

স্টাফ রিপোর্টার : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা বলেছেন, ‘আমরা বিচার বিভাগ যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি। যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি। আজকে একজন কলামিস্টের লেখা পড়েছি। সেখানে ধৈর্যের কথা বলা আছে। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে ইয়ো (অযোগ্য) করেছেন। সেখানে কিছুই (আলোচনা সমালোচনা) হয়নি। আমাদের আরও পরিপক্কতা দরকার।’

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার গেজেট প্রকাশের শুনানিতে রবিবার এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আজ এ মামলার শুনানি হয়। পরে আদালত বিষয়টির ওপর পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ওই মামলায় আবারও সময়ের আবেদন করলে প্রধান বিচারপতি তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘গত তারিখে কি কথা ছিলো? আলাপ-আলোচনা করার কথা হয়েছিলো। কার সঙ্গে কে কে থাকবে?’

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ল’ মিনিস্টার’। এ সময় বিচারপতি ওয়াহাব মিঞা বলেন, ‘অল দ্য জাজেস অব অ্যাপিলেট ডিভিশন। এতই আমরা ইয়ে হয়ে গেলাম, আলোচনা পর্যন্ত করলেন না।’

প্রধান বিচারতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, ‘মিডিয়াতে অনেক কথা বলেন। কোর্টে এসে অন্য কথা বলেন। আপনাকে নয়। আপনাদের বলছি। আপনিই বলেন। কবে কী হবে। আপনারা ঝড় তুলছেন। আমরা কোনো মন্তব্য করছি?’

এ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘না আপনারা করেননি।’ জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনার চাওয়া মতো ৮ তারিখ রাখলাম।’

এ সময় ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম বলেন, ‘আমার আবেদনটি শুনানি করেন।’

তার জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগ ধৈর্য ধরছি। যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি। আজকে একজন কলামিস্টের লেখা পড়েছি। সেখানে ধৈর্যের কথা বলা আছে। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রী কে ইয়ো (অযোগ্য) করেছেন। সেখানে কিছুই (আলোচনা সমালোচনা) হয়নি। আমাদের আরও পরিপক্কতা দরকার।’

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। ১২ দফার মধ্যে ইতোমধ্যে কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এ জন্য বারবার আদেশ দিতে হয়েছে আপিল বিভাগকে। এমনকি, ২০০৪ সালে আদালত অবমাননার মামলাও করতে হয়েছে বাদীপক্ষকে।

২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। গত ২৭ জুলাই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই খসড়া হস্তান্তর করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test