E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নরসিংদীতে তিন দিন ধরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

২০১৪ জুলাই ২১ ০২:০৪:০৩
নরসিংদীতে তিন দিন ধরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীতে তিন দিন ধরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার ফলে নৌপথের যাত্রীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, এ পথে অবৈধভাবে চলাচলকারী স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত নৌকার মালিকরা নরসিংদী নদীবন্দর দখল করে রাখায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও নরসিংদী লঞ্চ মালিক সমিতি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে বর্ষা মৌসুম হওয়ায় ও ঈদ সামনে রেখে নরসিংদী নদীবন্দর এলাকা দিয়ে নৌযান চলাচল বেড়েছে। ওই নৌবন্দরের ঘাট দিয়ে নরসিংদী-বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর-আশুগঞ্জ নৌপথে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করে।

কিন্তু গত কয়েক দিন ওই এলাকায় যত্রতত্র স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা নোঙর করে। এতে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোর ঘাটে ভিড়তে অসুবিধা হচ্ছে। পাশাপাশি স্পিডবোট ও নৌকার কর্মচারীরা লঞ্চযাত্রীদের জোর করে তাঁদের যানবাহনে উঠতে বাধ্য করছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে নরসিংদী নদীবন্দর দিয়ে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। লঞ্চ মালিক ও কয়েক যাত্রী জানান, স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত নৌকার চেয়ে কম ভাড়ায় লঞ্চে যাতায়াত করা যায়। যেখানে নরসিংদী থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর পর্যন্ত স্পিডবোটের ভাড়া ১০০ ও ইঞ্জিনচালিত নৌকার ভাড়া ৬০ টাকা, সেখানে একই পথে লঞ্চের ভাড়া মাত্র ৪০ টাকা। এ কারণে লঞ্চে বেশি যাত্রী যাতায়াত করে। এখন লঞ্চ বন্ধ থাকায় তাঁদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করে চলাচল করতে হচ্ছে।

লঞ্চ মালিকেরা জানান, স্পিডবোট ও নৌকার মালিকেরা বন্দর এলাকা দিয়ে চলাচল করতে না দেওয়ায় এবং বন্দর দখল করে রাখায় তাঁরা নরসিংদী-বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর-আশুগঞ্জ নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছেন। নরসিংদী নৌবন্দর ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চ চলাচল করে না জানিয়ে কয়েক ব্যক্তি লঞ্চঘাটে আসা যাত্রীদের নৌকাঘাট ও স্পিডবোটের ঘাটে নিয়ে যাচ্ছেন।

নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ গামীযাত্রী জলিল মিয়া জানান, অল্প ভাড়ায় লঞ্চে যাওয়ার জন্য লঞ্চঘাটে এসেছিলেন। কিন্তু ঘাটে এসে দেখেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

নরসিংদী লঞ্চ মালিক সমিতির সুপারভাইজার ইদ্রিস মিয়া বলেন, তাঁরা এক প্রকার জোর করে আমাদের বন্দর দখল করে রেখেছেন। তাঁদের কিছু বললেই তাঁরা উত্তেজিত হয়ে গালাগাল করেন। এমনকি মারধর করতেও উদ্ধত হন। পাশাপাশি তাঁরা আমাদের যাত্রীদের জোর করে নৌকা ও স্পিডবোটে নিয়ে যান।

স্পিডবোট ইঞ্জিনচালিত নৌকার মাঝিরা জানান, তাঁরা বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়েই তাদের স্পিডবোট ও নৌকায় যাত্রী নিয়ে চলাচল করছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের নরসিংদী ট্রাফিক পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম বলেন, তাঁরা স্পিডবোট ও নৌকা মালিকদের ওই পথে চলাচলের অনুমতি দেননি। তিনি বলেন, এগুলো চলাচলের ক্ষেত্রে এখানে রাজনৈতিক ও স্থানীয় আধিপত্যের ব্যাপার রয়েছে। তাই আমাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কিছু করতে পারছি না।

(ওএস/এস/জুলাই ২১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test