E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

'আইন সংশোধনী প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে বন বিভাগের জমিদারি পাকাপোক্ত হবে'

২০১৬ মে ০৪ ১৫:৩৫:১৩
'আইন সংশোধনী প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে বন বিভাগের জমিদারি পাকাপোক্ত হবে'

নিউজ ডেস্ক :প্রস্তাবিত বন আইন সংশোধনী প্রস্তাব ২০১৫ বাস্তবায়িত হলে বন বিভাগের জমিদারি পাকাপোক্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বন আইন সংশোধনী প্রস্তাব ২০১৫ এবং বন সংশ্লিষ্ট জনমানুষের অধিকার’সংক্রান্ত একটি গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গোলটেবিলের আয়োজন করে এলআরডি, বেলা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বন ও ভূমি অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলন।

বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ১৯৫০ সালে প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়েছিল। ১৯২৭ সালের বন আইনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলেও নব্য বন-জমিদারের ভূমিকায় থেকে যায় বন বিভাগ। প্রস্তাবিত বন আইনে বন বিভাগের জমিদারি আরও পাকাপোক্ত করবে। এই প্রস্তাব বনবাসী বা বননির্ভর মানুষকে আরও প্রান্তিকতার দিকে ঠেলে দেবে। বন বিভাগের ক্ষমতা আরও পোক্ত করবে।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য মো. ইয়াসীন আলী বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের অনেকে দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে বন সাবাড় হয়ে যায়। তবে একটি নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষও তো রাখতে হবে। বন বিভাগের উচিত, বননির্ভর মানুষের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা।

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, বন আইন সংশোধন নয়, নতুন আইন দরকার।

নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশি কবিরের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বন ও ভূমি অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলনের সভাপতি গৌতম দেওয়ান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা, এলআরডির নির্বাহী পরিচালক সামসুল হুদা প্রমুখ।



(ওএস/এস/মে০৪,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test